নিয়মিত মহড়ার নামে রাষ্ট্রীয় শক্তির এক নিঃশব্দ মঞ্চায়ন চলছে, যেখানে জনজীবন ক্রমেই থমকে যাচ্ছে। এই প্রহসনের আড়ালে কী সত্য লুকিয়ে আছে, সেটাই আজকের লেখার কেন্দ্রে।
হঠাৎ করেই শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলো নিস্তব্ধ হয়ে গেল। কাঁধে রাইফেল, চোখে গম্ভীরতা—সেনাবাহিনীর ছায়া পড়ে যখন নাগরিক সকাল, তখন সাধারণ মানুষ দিশেহারা। বলা হচ্ছে—"এটা কেবলই একটি নিয়মিত মহড়া।"
কিন্তু প্রশ্ন জাগে—এতো নিয়মিত কি নিঃশব্দে আতঙ্ক ঢুকে পড়ে জনজীবনের প্রতিটি কোষে?
এই "মহড়া" কি শুধুই কৌশলগত প্রস্তুতি, নাকি এর ছায়ায় লুকিয়ে আছে রাষ্ট্রীয় আধিপত্যের নিঃশব্দ প্রদর্শনী?
দোকানের শাটার নেমে যাচ্ছে, স্কুল-কলেজে অনুপস্থিতির হাহাকার, হাসপাতালেও রোগীদের উদ্বেগ—এসবই কি নিছক কাকতালীয়?
কল্পনার রাজ্য কল্পসেবায় চলছে এমনই এক দৃশ্যপট—যেখানে মহড়ার নামে চলছে নিপীড়নের নীরব উৎসব।
আসল প্রশ্ন হলো, এই নিঃশব্দ নিপীড়নের থাবা থেকে মুক্তির পথ কোথায়? আমরা কি আদৌ স্বাধীন?
এই ব্লগে আজ আমরা ভিন্ন এক চোখে দেখব "মহড়া" নামক চিত্রনাট্য। পাঠক, আপনি কী ভাবছেন?
এটা কি শুধুই নিরাপত্তা অনুশীলন? নাকি বাস্তবতা থেকে ধীরে ধীরে মুছে ফেলা হচ্ছে মানুষের মতপ্রকাশের স্পেস?
"আজ সকালটা যেন কিছুতেই স্বাভাবিক ছিল না।"
কল্পলোকের বাতাসে ছিল অজানা উদ্বেগের গন্ধ, রাস্তাঘাটে টহলদারির চেহারা একটু বেশিই কঠোর, আর কল্পিকদের মুখে মুখে শুধু একটাই কথা—"কী হচ্ছে এখানে?"
কল্পসেবা, রাজনৈতিক মহড়া, কল্পিক জীবন, জনজীবন থমকে, কাল্পনিক প্রতিবাদ, dystopian politics,
কল্পসেবা নামে শুরু হয়েছিল একটি ‘জনকল্যাণমুখী’ প্রকল্প—স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল উন্নয়নের, কথা ছিল কর্মসংস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা। কিন্তু এখন সেটা যেন এক বিভীষিকা।
রাজপথে সাঁজোয়া যান, আকাশে নজরদারি ড্রোন, প্রতিটি মোড়ে দণ্ডায়মান মুখোশধারী বাহিনী। জনজীবন থমকে গেছে। অফিস-আদালত বন্ধ, শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না, বাজারে নেই তরিতরকারি, নেই শান্তি।
কিন্তু প্রশ্ন একটাই—এই রাজনৈতিক মহড়ার নেপথ্যে কী? সত্যিই কি এটা কেবলই অনুশীলন, নাকি এক অনিবার্য দমননীতি সামনে আসছে?
গৃহবন্দি কল্পিকরা জানে না তাদের ভবিষ্যৎ কোন পথে। কেউ কেউ চুপ করে সহ্য করছে, কেউ প্রতিবাদে সোচ্চার হচ্ছে, আবার কেউ পরিবার নিয়ে পালানোর পথ খুঁজছে।
পাঠক, আপনি কী ভাবছেন?
আমরা কি কল্পলোকের গল্প বলছি, নাকি এক ভয়ঙ্কর বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরছি?
এই ব্লগে আমরা তুলে ধরব সেই ভয় আর ভয়ের পেছনের বাস্তবতা—কল্পসেবার রাজনৈতিক মহড়া কীভাবে সাধারণ কল্পিকদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে।
এটা শুধু কল্পনা নয়—এটা একটি প্রতীক, একটি প্রতিবাদ, আর হয়তো একটি বিপ্লবের শুরু।
এই লেখাটি শুধু কল্পলোকের গল্প নয়, এটি আমাদের সময়ের প্রতিচ্ছবিও হতে পারে।
শেয়ার করুন, মতামত দিন, আর ভাবুন—আজ যেটা কল্পলোক, কাল সেটা হতে পারে আপনার চারপাশ।
কল্পরাজ্য আজ অচল। কল্পসেবা দলের কর্মসূচিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। কল্পিক মিয়ার চোখে ভোগান্তি আর ক্ষোভের বাস্তব চিত্র।
আজ কল্পরাজ্য পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে কল্পসেবা দলের কথিত জনসমাবেশের কারণে। রাজধানী ঢাকাতীর প্রতিটি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ, বাস-লঞ্চ বন্ধ, অফিসগামী যাত্রী ও রোগীদের সীমাহীন ভোগান্তি। কল্পসেবা দল যেখানে গণতন্ত্রের নামে গণসমাবেশ করছে, সেখানে সাধারণ জনগণ পড়ছে চরম দুর্ভোগে। কল্পিক মিয়া, একজন সাধারণ নাগরিক, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তুলে ধরেছেন এই ভয়াবহ পরিস্থিতির চিত্র। রাস্তা-ঘাট অবরোধ করে রাজনীতি করলে সেটি জনগণের জন্য হয় বিপর্যয়, সেবা নয়। এই লেখায় উঠে এসেছে রাজনীতির নামে জনদুর্ভোগের কষ্ট, ক্ষোভ ও বাস্তবতা। পুরো কল্পরাজ্য আজ যেন কিছু ক্ষমতালোভীর রাজনৈতিক কর্মসূচির হাতে জিম্মি। কল্পিক মিয়ার এই প্রতিবাদভিত্তিক ব্লগপোস্ট রাজনৈতিক নাটকের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা জনভোগান্তির বাস্তব রূপ তুলে ধরেছে। পড়ুন, শেয়ার করুন এবং ভাবুন – এই কি আমাদের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র?
আজকের দিনটা শুরুতেই বুঝে গিয়েছিলাম – কিছু একটা গড়বড় হবে। সকাল ৭টা বাজতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লো খবর, কল্পরাজ্যের কল্পসেবা দল আজ রাজধানী ঢাকাতীর কেন্দ্রে একটি বিশাল "জনসমাবেশ" করছে। হ্যাঁ, ঠিক সেই কল্পসেবা দল – যারা জনগণের সেবা নামে মিটিং করে, আর সেই জনগণই ঘন্টার পর ঘন্টা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকে, অফিসে পৌঁছাতে না পেরে বসে থাকে রিকশার সিটে ঘেমে-নেয়ে।
🚫 বন্ধ রাস্তাঘাট, মুখ থুবড়ে পড়া জনজীবন
আমি কল্পিক মিয়া, একজন মধ্যবিত্ত কর্মজীবী নাগরিক। আজ সকাল ৮টায় অফিস ধরার কথা ছিল।
কিন্তু কী অবস্থা! ঢাকাতীর প্রধান সড়কগুলো ঘিরে ফেলেছে দলীয় মিছিল। কোথাও বাস থামানো, কোথাও লোকজন জড়ো হয়ে মিছিল দিচ্ছে, কোথাও রাস্তায় বসে শ্লোগান।
কে যেন বলে উঠলো,
“ভাই, আজ তো কল্পসেবা দলের কর্মসূচি। কিছুই চলবে না।” বাস বন্ধ, লঞ্চ বন্ধ, এমনকি মোটর বাইক, রিক্সা সহ অন্য কোন যানবাহনের দেখা নাই। হাঁটতে হাঁটতে রমনায় পৌঁছাতে গিয়ে মনে হচ্ছিল যেন আমি কোনো যুদ্ধক্ষেত্রে হেঁটে চলেছি। মানুষের গালাগালি, পুলিশের ভ্রু-কুঁচকানো দৃষ্টি, আর কল্পসেবার কর্মীদের রণচণ্ডী স্লোগান – এই কি তাহলে কল্পরাজ্যের রাজনীতি?
😠 "জনগণের" স্বার্থে জনদুর্ভোগ?
প্রতিবারের মতোই তারা বলেছে –
“আমরা জনগণের অধিকার রক্ষায় রাস্তায় নেমেছি।”
তাহলে আমি কে?
আমি কি এই কল্পরাজ্যের নাগরিক নই?
আমার অফিস, আমার অ্যাপয়েন্টমেন্ট, আমার অসুস্থ বাবার ওষুধ কেনার দায়িত্ব – এগুলোর কি কোনো দাম নেই কল্পসেবা দলের কাছে?
আমার সামনে একটি গর্ভবতী নারী হেঁটে চলেছেন। কেউ তাঁকে সাহায্য করছে না, কারণ সবারই নিজের যুদ্ধ। এক বৃদ্ধ ঠাকুরদা রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন, পেছনে থাকা মোটরসাইকেলচালক তাঁকে ধাক্কা দিয়ে এগিয়ে গেল।
🔥 রাগের আগুনে জ্বলছে কল্পিক মিয়া
আজকের দিনটি আমাকে শিক্ষা দিলো –
এই কল্পরাজ্যে রাজনীতি মানেই ক্ষমতার খেলা, আর জনগণ মানেই দর্শক এবং ভোগান্তির শিকার।
কল্পসেবা দল, তোমাদের প্রশ্ন করি —
কতদিন এমন করে রাস্তা বন্ধ করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখবে?
জনগণকে পিষে দিয়ে কখনও সত্যিকারের নেতৃত্ব গড়া যায়?
আমার একমাত্র অপরাধ, আমি এক সাধারণ নাগরিক। কিন্তু আজ আমার চিৎকার, আমার কষ্ট – সব যেন ঢাকা পড়ে গেছে ব্যানার আর মাইকের আওয়াজে।
আমার মতো হাজারো কল্পিক মিয়া আজ নীরবে ভোগান্তির গ্লানি নিয়ে ঘরে ফিরেছেন।
শুনতে পাচ্ছি, আগামীকালও নাকি অন্য কোন দলের কর্মসূচি আছে! কর্মসূচি চলছে! কর্মসূচি চলবে!
আমার প্রশ্ন –
এই কল্পরাজ্যের সড়কে আমরা কি কেবলই রাজনীতির পা-চাপা পড়া মানুষেরা?
আমার রাগ, আমার কান্না – এর কি কোনো মূল্য নেই?
"রাজনীতি যদি জনগণকে কষ্ট দিয়ে এগোয়, তবে সে রাজনীতি নয়, তা ক্ষমতার দখলবাজি।" – কল্পিক মিয়া
🗨️ আপনি যদি একজন কল্পিক হন, তবে আপনার কণ্ঠস্বর তুলুন। না হলে, কালকের ভোগান্তিও আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।
🌸 আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!
আপনার মতামত আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং আগামীতে আরও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরিতে সহায়তা করে।
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা গল্প পছন্দ করে থাকেন, জানালে ভালো লাগবে।
নিয়মিত পাশে থাকুন — আপনার সহযোগিতা ও ভালোবাসাই আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি।
শুভ কামনায়,
✍️ কল্পকথা-৩৬০ ব্লগ টিম
https://kalpakatha360.blogspot.com