সময়টা সত্যিই অদ্ভুত! বছর ঘুরে এলো। গত এক বছর, অর্থাৎ জুলাই ২০২৪ থেকে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত সময়টা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান করে নেবে। এই এক বছর যেন আমাদের সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি—সবকিছুকে এক নতুন খাতে প্রবাহিত করেছে। এই পরিবর্তনগুলো এক দিনে আসেনি। এর পেছনে আছে দীর্ঘদিনের চাপা ক্ষোভ, প্রত্যাশা আর স্বপ্ন।
রাজনৈতিক অঙ্গনে এই বছরটি ছিল এক টালমাটাল সময়ের সাক্ষী। বছরের শুরুতে যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল, তা ধীরে ধীরে এক নতুন মেরুকরণের দিকে এগিয়ে যায়। ক্ষমতা আর প্রতিপক্ষের চিরাচরিত দ্বন্দ্বের বাইরে এক নতুন রাজনৈতিক চেতনা জন্ম নিয়েছে। সাধারণ মানুষ, যারা এতদিন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল না, তারাই যেন এইবার মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। পুরোনো রাজনৈতিক কাঠামোর ওপর এক নতুন চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এই চাপ গণতন্ত্রের পক্ষে কতটা সহায়ক, তা হয়তো সময়ই বলবে। কিন্তু এটা বলা যায়, রাজনীতি এখন আর কেবল কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতে সীমাবদ্ধ নেই।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও এই বছরটি ছিল চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনার এক মিশ্র চিত্র। আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চাপ, মুদ্রাস্ফীতি, আর তার সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশের অভ্যন্তরীণ কিছু সংকট। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে, যা সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। কিন্তু এর মাঝেও আশার আলো দেখা গেছে। নতুন কিছু অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারে। বিশেষ করে, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে নতুন করে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগগুলো যদি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, তবে আগামী বছরগুলোতে আমরা এক নতুন অর্থনৈতিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে পারি।
সামাজিক পরিবর্তনগুলোও এই এক বছরে লক্ষণীয়। একসময় যে সমাজ ছিল অনেকটাই রক্ষণশীল, সেই সমাজে এখন প্রগতিশীল চিন্তাধারা প্রবেশ করছে। সমাজের বিভিন্ন স্তরে নারী ও যুবকদের অংশগ্রহণ বেড়েছে। পুরনো সামাজিক রীতিনীতিগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে নতুন মূল্যবোধ তৈরি হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো এই পরিবর্তনে এক বড় ভূমিকা পালন করেছে। এর ফলে একদিকে যেমন মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারছে, তেমনি অন্যদিকে সমাজে অস্থিরতাও তৈরি হয়েছে।
এই সব পরিবর্তনের মাঝে একটা জিনিস স্পষ্ট—বাংলাদেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। এই পরিবর্তনগুলো ইতিবাচক না নেতিবাচক, তা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। কিন্তু এই পরিবর্তনগুলো যে আমাদের সমাজকে এক নতুন পথে নিয়ে যাচ্ছে, তা অস্বীকার করা যায় না। গত এক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। এই সময়টা প্রমাণ করেছে যে, দেশের সাধারণ মানুষ শুধু দর্শক নয়, তারাই পরিবর্তনের প্রধান কারিগর। আমাদের এখন প্রয়োজন এই পরিবর্তনগুলোকে সঠিক পথে পরিচালনা করা, যাতে আমরা এক উন্নত, সমৃদ্ধ এবং মানবিক বাংলাদেশ গড়তে পারি।
জুলাই ২০২৪ থেকে জুলাই ২০২৫—এই এক বছর বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অভাবনীয় এবং যুগান্তকারী রাজনৈতিক পরিবর্তনের বছর হিসেবে লেখা থাকবে। এটি কোনো সাধারণ বছর ছিল না; এটি ছিল এক গণআন্দোলনের বছর, যা দেশের ক্ষমতার কাঠামোকে আমূল বদলে দিয়েছে। এই এক বছরের গভীরে তাকালে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের জীবনে এই পরিবর্তনের প্রভাব ছিল ব্যাপক, দ্বিমুখী এবং অত্যন্ত জটিল। একদিকে যেমন মুক্তির আশা ও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলেছে, তেমনই চরম অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক চাপ এবং সামাজিক অস্থিরতা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করেছে।
জুলাই ২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন অল্প সময়ের মধ্যেই এক সর্বাত্মক ছাত্র-জনগণ অভ্যুত্থানে রূপ নেয়, যা ইতিহাসে "জুলাই বিপ্লব" বা "অসহযোগ আন্দোলন" নামে পরিচিতি লাভ করে। এই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতিতে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি সম্পূর্ণ নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা হয়। নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার প্রধান কাজ হয় রাষ্ট্রব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি করা। এই ঐতিহাসিক পটপরিবর্তনই ছিল গত এক বছরের সমস্ত উপকার ও ক্ষতির মূল চালিকাশক্তি।
সংঘাত ও নিরাপত্তাহীনতা: আন্দোলন চলাকালীন এবং সরকারের পতনের ঠিক পরবর্তী সময়ে দেশজুড়ে এক চরম অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। সহিংসতা, সংঘাত এবং ক্ষমতার শূন্যতার কারণে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায় চুরি, ডাকাতি এবং ব্যক্তিগত মতামতের উপর আক্রমণ বেড়ে যায় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এই নিরাপত্তাহীনতা ছিল সাধারণ নাগরিকের জন্য সবচেয়ে বড় এবং তাৎক্ষণিক ক্ষতি।
রাজনৈতিক বিভেদ ও প্রতিহিংসা: সরকারের পতনের পর পূর্বতন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয় এবং বহু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে রাজনৈতিক দলকে অন্তর্ভুক্ত করার বিধান আনা হয়। এই পদক্ষেপগুলো একদিকে যেমন ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে, তেমনই অন্যদিকে এটি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্ম দিতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি রূপরেখা দিলেও, একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং সব দলের জন্য সমান ক্ষেত্র তৈরি করার মতো বিশাল চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এই প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য এবং ক্রমবর্ধমান চাপ একটি নতুন রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিতে পারে—এই আশঙ্কা সাধারণ মানুষের মধ্যে কাজ করছে।
গণতান্ত্রিক পরিসর উন্মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা: বহু মানুষের কাছে এই পটপরিবর্তন ছিল একটি স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্তির প্রতীক। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, একটি নতুন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখছে যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, আইনের শাসন এবং সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেওয়ায় এই আশাবাদ আরও শক্তিশালী হয়েছে।
বিচার ব্যবস্থার সংস্কার ও ন্যায়বিচারের আশা: জুলাই আন্দোলনে সংঘটিত সহিংসতা এবং অতীতের বিভিন্ন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিচারের উদ্যোগ সাধারণ মানুষের মধ্যে বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা ফিরিয়ে আনার একটি সুযোগ তৈরি করেছে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক দিক, যা সফল হলে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠনে সাহায্য করবে।
দুঃসহ মূল্যস্ফীতি: যদিও জুন ২০২৫ নাগাদ মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮.৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন, কিন্তু এর আগের পুরোটা সময় এটি ৯ থেকে ১০ শতাংশের বেশি ছিল। এর অর্থ হলো, সাধারণ মানুষ সাড়া বছরজুড়ে কোমড় ভাঙা দামের চাপে পিষ্ট হয়েছে। খাদ্য, জ্বালানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সঞ্চয় শেষ হয়ে গেছে। মূল্যস্ফীতির এই আঘাত মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক ক্ষতি।
নতুন করের বোঝা: ২০২৪ ও ২৫ অর্থবছরের বাজেটে রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা বেড়েছে। মোবাইল ফোনে কথা বলা এবং বিভিন্ন সেবা ও পণ্যের উপর বর্ধিত শুল্ক সাধারণ মানুষের পকেট থেকেই যাচ্ছে, যা তাদের দৈনন্দিন খরচ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে বাজেট সহায়তা পেয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে কিছুটা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করেছে। অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল প্রকল্প কাটছাঁট করে এবং ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে অর্থনীতির প্রতি আস্থা ফেরানোর একটি ইতিবাচক প্রয়াস দেখা গেছে।
রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সে ইতিবাচক ধারা: রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও, ২০২৪ ও ২৫ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয়ে ৮.৫৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। প্রবাসী আয়ও একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এই দুটি খাত অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করায় একটি বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
মেগা প্রকল্পের কাজে ধারাবাহিকতা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর এবং ঢাকার মেট্রো রেলের মতো বড় প্রকল্পগুলোর কাজ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হওয়ার কথা রয়েছে, যা দেশের জ্বালানি খাতে একটি বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং দীর্ঘমেয়াদে সাধারণ মানুষ এর সুবিধা পাবে।
সামাজিক সুরক্ষায় মনোযোগ: অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিয়েছে। যদিও ভাতার পরিমাণ খুব বেশি বাড়েনি, তবে এই খাতে মনোযোগ ধরে রাখা হয়েছে, যা দেশের সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক।
ঋণের বিশাল বোঝা: এই মেগা প্রকল্পগুলোর জন্য নেওয়া বিদেশি ঋণের বোঝা দেশের অর্থনীতির উপর একটি বড় চাপ। নতুন সরকার কীভাবে এই ঋণ পরিশোধের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করবে এবং এর ফলে জনকল্যাণমূলক অন্য খাতে বরাদ্দ কমবে কি না—এই প্রশ্নগুলো এখন সাধারণ মানুষের মনেও উঁকি দিচ্ছে।
জুলাই ২০২৪ থেকে জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত সময়কালটি ছিল বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক ভাঙাগড়ার বছর। এই বছরে সাধারণ মানুষের প্রাপ্তি বা উপকার এখনো মূলত একটি সম্ভাবনা বা প্রত্যাশার পর্যায়ে রয়েছে—একটি অবাধ নির্বাচন, গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সুশাসনের আশা। অন্যদিকে, ক্ষতিগুলো ছিল অত্যন্ত বাস্তব ও বেদনাদায়ক—রাজনৈতিক সংঘাতের রক্তপাত, নিরাপত্তাহীনতা এবং কোমড় ভাঙা অর্থনৈতিক চাপ।
সুতরাং, এই এক বছরের খতিয়ান এক কথায় দেওয়া কঠিন। সাধারণ মানুষ একটি দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে রাস্তায় নেমেছিল এবং একটি পরিবর্তন এনেছে, যা এক বিরাট প্রাপ্তি। কিন্তু সেই পরিবর্তনের পথ ধরে হাঁটতে গিয়ে যে চরম অনিশ্চয়তা ও কষ্ট তাদের সহ্য করতে হচ্ছে, তাও এক বিরাট বিসর্জন। আগামী দিনগুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্য, একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ক্ষমতার উপরই নির্ভর করবে—এই বিপ্লব সাধারণ মানুষের জন্য শেষ পর্যন্ত কতটা উপকারী বা ক্ষতিকর ছিল।
আপনি যদি এই গবেষণামূলক প্রতিবেদনটি তথ্যবহুল ও সময়োপযোগী মনে করেন, দয়া করে শেয়ার করুন। আপনার শেয়ার হয়তো অন্য কারো সচেতনতার পথ খুলে দিতে পারে। মতামত বা পরামর্শ জানাতে নিচের কমেন্ট বক্সে লিখুন। দেশ ও মানুষের কল্যাণে সবাই মিলে সচেতনতা ছড়িয়ে দিন।
প্রশ্ন ১: গত এক বছরে বাংলাদেশের বড় পরিবর্তন কী ছিল?
উত্তর: জাতীয় নির্বাচন, মূল্যস্ফীতি, জলবায়ু দুর্যোগ ও ডিজিটাল আইন সংস্কার ছিল বড় পরিবর্তনের অংশ।
প্রশ্ন ২: সাধারণ মানুষ কীভাবে উপকৃত হয়েছে?
উত্তর: শিক্ষা কারিকুলাম উন্নয়ন, ডিজিটাল সেবা বৃদ্ধি, ও কিছু অবকাঠামো উন্নয়নে উপকার পেয়েছে।
প্রশ্ন ৩: সাধারণ মানুষের ক্ষতির দিক কী কী ছিল?
উত্তর: দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ডেঙ্গু সংকট, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সংকোচ ছিল বড় ক্ষতির দিক।
প্রশ্ন ৪: অর্থনীতির অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর: ডলার সংকট, রিজার্ভ হ্রাস ও রপ্তানিতে চ্যালেঞ্জ থাকলেও গার্মেন্টস খাতে কিছু অগ্রগতি হয়েছে।
প্রশ্ন ৫: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কতটা গভীর ছিল?
উত্তর: ফেনী, সিলেট, কক্সবাজারসহ কয়েকটি বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়।
✍️ আপনার মন্তব্য লিখুন:
আপনার নাম ও মতামত দিন। গঠনমূলক আলোচনা আমরা স্বাগত জানাই। নাম:
মন্তব্য:
মন্তব্য পাঠান