🌙 কবিতার নাম: "ফিরে এলে না আজও"
লেখিকা: রাবেয়া মজুমদার
বসন্তের শেষরাতে বাতাস থমকে গেছে,
গোলাপজলের ঘ্রাণেও জেগে ওঠে না প্রাণ।
হাতের মেহেদি আজও শুকায়নি,
কিন্তু সে চরণ রাখেনি আমার দালানে।
রান্নাঘরে পোলাওর সুবাস ভাসে—
যেন তারই প্রিয় খাবারের স্মৃতি।
কাঁধে ওড়না, হাতে চুড়ি, চোখে কাজল—
আর মোনাজাতে শুধু একটি নামই উঠি।
বলেছিল— “ইনশাআল্লাহ ফিরব,
রাতে মাগরিবের পরেই, কেক কাটা হবে দুইজনে।”
কই সে রাত? কোথায় সে কেক?
এই তো সেহরির আজান, অথচ সে নেই কারো সনে।
নিঃসঙ্গ শহরের গলিপথে
কারো পায়ের আওয়াজ নেই—
বিবাহবার্ষিকীর টেবিলে কেক
ঠান্ডা পড়ে আছে, যেন দুঃখের ঢেউ বইছে বুকে গোপনে।
আমি স্ত্রী, আমি মুসলিমা, আমি প্রেমে প্রতীক্ষা—
আমি সেই চোখ, যেথায় অশ্রু ও দোয়া মিলে।
সে ফিরে আসে না, আসবেও না হয়তো,
তবু অন্তর বলে—
"রাব্বানা, তাকে ভুলতে না দিও হে আল্লাহ তাআলা,
এই দিল থেকে কখনো।"
লেখিকা: রাবেয়া মজুমদার
বসন্তের শেষরাতে বাতাস থমকে গেছে,
গোলাপজলের ঘ্রাণেও জেগে ওঠে না প্রাণ।
হাতের মেহেদি আজও শুকায়নি,
কিন্তু সে চরণ রাখেনি আমার দালানে।
রান্নাঘরে পোলাওর সুবাস ভাসে—
যেন তারই প্রিয় খাবারের স্মৃতি।
কাঁধে ওড়না, হাতে চুড়ি, চোখে কাজল—
আর মোনাজাতে শুধু একটি নামই উঠি।
বলেছিল— “ইনশাআল্লাহ ফিরব,
রাতে মাগরিবের পরেই, কেক কাটা হবে দুইজনে।”
কই সে রাত? কোথায় সে কেক?
এই তো সেহরির আজান, অথচ সে নেই কারো সনে।
নিঃসঙ্গ শহরের গলিপথে
কারো পায়ের আওয়াজ নেই—
বিবাহবার্ষিকীর টেবিলে কেক
ঠান্ডা পড়ে আছে, যেন দুঃখের ঢেউ বইছে বুকে গোপনে।
আমি স্ত্রী, আমি মুসলিমা, আমি প্রেমে প্রতীক্ষা—
আমি সেই চোখ, যেথায় অশ্রু ও দোয়া মিলে।
সে ফিরে আসে না, আসবেও না হয়তো,
তবু অন্তর বলে—
"রাব্বানা, তাকে ভুলতে না দিও হে আল্লাহ তাআলা,
এই দিল থেকে কখনো।"
“প্রতীক্ষার অন্ধকারে জমে থাকা আলো”
বসন্তের শেষরাতে থমকে যাওয়া বাতাসের মতো, কখনো কখনো আমাদের জীবনের পথও থেমে যায়। যেখানে একসময় প্রাণবন্ত ছিল, সেখানে নীরবতা এসে দম ফেলা কঠিন করে তোলে। এই নীরবতার মধ্যে লুকিয়ে থাকে গভীর এক প্রত্যাশা, এক দীর্ঘশ্বাস, আর অনুরোধ—কখনো যেন হারিয়ে না যায় সেই ভালোবাসার নাম।
প্রেম শুধু দেখা কিংবা সান্নিধ্যের নাম নয়, এটি হলো অন্তরের এক অমলিন পবিত্রতা, যা বেদনার মাঝেও প্রাণ ধরে রাখে। যখন কেউ চলে যায়, হারিয়ে যায়, তখনো হৃদয় ফিরে পায় এক টুকরো আশার ছোঁয়া—ইনশাআল্লাহ, সে ফিরবে। আর এই প্রত্যাশা হয় সেই প্রার্থনা, যেটি দোয়ার ভঙ্গিতে গড়া, অশ্রুর সাথে মিশে থাকা, এবং অন্তর থেকে উঠে আসা “রাব্বানা, তাকে ভুলতে না দিও”।
এমন সময় ভালোবাসা হয় এক অনির্বচনীয় শক্তি, যা শুধুমাত্র ফিরে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা নয়, বরং মনের একান্ত নিবেদন — সেই মানুষটির জন্য শান্তি, মঙ্গল এবং স্নেহ কামনা করা। ভালোবাসা যখন পূর্ণ হয় আত্মত্যাগ আর স্মৃতির মিশেলে, তখন তা হয়ে ওঠে একটি জীবন্ত প্রার্থনা, যেখানে কষ্টও এক ধরনের সৌন্দর্য।
এই কবিতার প্রতিটি লাইন যেন সময়ের ধারা থামিয়ে দেয়, এবং একটি নিঃসঙ্গ হৃদয়ের কাহিনি বলে যায়, যা নিজের সঙ্গেই কথা বলে, দুঃখের ঢেউ গোপনে বুকে মায়া জাগায়।
প্রেমের এই গভীরতা, সেই অপেক্ষার তীব্রতা, এবং অন্তরের অদম্য প্রার্থনা আমাদের শেখায়— ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না, হয় শুধু রূপ বদলের মাধ্যমে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
📌 পাঠকদের প্রতি আন্তরিক অনুরোধ
এই লেখা কল্পকথা ৩৬০-এর একটি অনুভবময়, পাঠকবান্ধব উপস্থাপন। বিষয়বস্তু ভিন্ন ভিন্ন হলেও, প্রতিটি লেখায় আমরা পাঠকের সঙ্গে ভাবনার বন্ধন গড়তে চাই। আপনার মতামত, পরামর্শ ও সংশোধন আমাদের কাজকে আরও সমৃদ্ধ করবে। অনিচ্ছাকৃত কোনো ত্রুটি বা অসঙ্গতি থেকে থাকলে, দয়া করে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
✍️ আপনার মতামত আমাদের অনুপ্রেরণা — আপনার সংক্ষেপণ, পরামর্শ বা মতামত কমেন্টে জানালে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব। এতে আমাদের কাজ আরও নির্ভুল, মানবিক ও পাঠকবান্ধব হবে।
🤝 আপনার সহযোগিতা আমাদের চলার পথ — পাঠকই লেখার প্রাণ। ভালো লেগে থাকলে জানাতে ভুলবেন না, ত্রুটি থাকলে তা ধরিয়ে দিন। আমরা সবসময় শেখার চেষ্টা করি।
❤️ কল্পকথা ৩৬০ – পাঠকের ভালোবাসায় পথ চলে
Tags:
Fantasy Poetry