কখনো কি ভেবেছেন মানুষ বাঁচে কেন? শুধু খাবার, পোশাক আর আশ্রয়ের জন্য? নাকি এর বাইরেও জীবনের কোনো গভীর অর্থ আছে? রাতের আকাশে হাজারো তারার ঝিকিমিকি দেখলে যেমন মনে হয় প্রতিটি তারা যেন কোনো অদৃশ্য গল্প লিখছে, তেমনি আমাদের প্রতিটি মানুষের ভেতরেও লুকিয়ে থাকে একেকটি স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্নের যাত্রাপথ কি সবসময় আলোকিত? না, অনেক সময়ই অন্ধকার, কণ্টকাকীর্ণ আর অনিশ্চয়তায় ভরা।
প্রশ্ন হলো আমরা কি সেই অন্ধকারকে অজুহাত বানিয়ে স্বপ্নকে মেরে ফেলবো, নাকি স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরে অন্ধকার ভেদ করবো? হয়তো উত্তরটা সহজ নয়। তবে একদিন নিজের ভেতরের শিশুটির দিকে তাকিয়ে বুঝতে হবেযে চোখ একদিন আকাশ দেখে উড়তে চেয়েছিল, তাকে দমিয়ে রাখার অধিকার আমাদের নেই।
👉 পাঠক, আপনি কি এখনও সেই পুরোনো স্বপ্নটার সাথে বেঁচে আছেন, নাকি তাকে কবর দিয়ে ফেলেছেন বাস্তবতার চাপে?
রাতের আকাশে অগণিত তারার দিকে তাকিয়ে অথবা বৃষ্টির দিনে জানালার কাঁচে বিন্দু বিন্দু জলের ধারা দেখতে দেখতে আমাদের মনে কতশত স্বপ্নের আনাগোনা হয়। কৈশোরে ডায়রির পাতায় সযত্নে লেখা ‘আমি ডাক্তার হবো’‘বড় হয়ে নভোচারী হবো’ অথবা যৌবনের শুরুতে বন্ধুদের আড্ডায় বলা ‘একদিন নিজের একটা বইয়ের দোকান দেবো’এই স্বপ্নগুলো আমাদের বেঁচে থাকার প্রাথমিক রসদ। স্বপ্ন দেখাটা যেন বাতাসের মতোই সহজনিঃশ্বাসের মতোই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিটি ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে জীবনের রূঢ় বাস্তবতায় সেই স্বপ্নগুলো ফিকে হতে শুরু করে।
স্বপ্ন দেখা সহজকিন্তু সেই স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখা? সে এক অসমাপ্ত লড়াইয়ের নাম। এই লড়াইয়ে কেউ জেতেকেউ বা হারিয়ে যায় জীবনের অলিগলিতে। কেন মরে যায় আমাদের স্বপ্নগুলো? আর কীভাবে এই ম্রিয়মাণ স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা যায়? চলুনআজ সেই গল্পই শোনা যাক।
কেন স্বপ্নগুলো হারিয়ে যায়? পথের কাঁটাগুলো চিনে নেওয়া
প্রতিটি স্বপ্নের যাত্রাপথই কণ্টকাকীর্ণ। কিছু কাঁটা আমাদের নিজেদের তৈরিআর কিছু সমাজ ও পরিস্থিতি আমাদের পায়ে বিঁধিয়ে দেয়।
১. সামাজিক ও পারিবারিক চাপ: লোকে কী বলবে?এই চারটি শব্দ আমাদের সমাজের হাজারো স্বপ্নের ভ্রূণহত্যার জন্য দায়ী। বাবা-মায়ের ইচ্ছেআত্মীয়স্বজনের প্রত্যাশা আর প্রতিবেশীর তুলনার চাপে পড়ে নিজের ভেতরের ‘আমি’টাকে আমরা গলা টিপে হত্যা করি। ঢাকার এক সচ্ছল পরিবারের ছেলে ফাহিম স্বপ্ন দেখতো একজন স্থপতি হওয়ার। তার আঁকার হাত ছিল চমৎকার। কিন্তু পরিবারের চাপে তাকে পড়তে হলো ব্যবসায় প্রশাসনে। কারণতাদের পারিবারিক ব্যবসায় একজন যোগ্য উত্তরসূরি প্রয়োজন। ফাহিম এখন বড় ব্যবসায়ীকিন্তু রাতের বারান্দায় দাঁড়ালে তার দীর্ঘশ্বাসে মিশে থাকে অদেখা কোনো ভবনের নকশা। এমন হাজারো ফাহিম আমাদের চারপাশে ছড়িয়ে আছেযারা অন্যের স্বপ্নে বেঁচে থাকে।
২. আর্থিক অনিশ্চয়তা ও জীবিকার তাগিদ: স্বপ্ন আর পেটের ক্ষুধা যখন মুখোমুখি দাঁড়ায়তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ক্ষুধার জয় হয়। নড়াইলের গ্রামের ছেলে করিমের স্বপ্ন ছিল সে একজন ভালো ক্রিকেটার হবে। জেলা পর্যায়ে তার নামডাকও ছিল। কিন্তু পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবার মৃত্যুর পর তাকে ব্যাট-প্যাড তুলে রেখে ধরতে হলো ভ্যানের হাতল। সংসারের ঘানি টানতে টানতে তার দৌড়ের গতি কমে এলোস্বপ্নের পিচটাও ঢাকা পড়লো দৈনন্দিনতার ধুলোয়। আমাদের দেশে এমন লক্ষ লক্ষ করিম আছেযাদের স্বপ্নগুলো দু'বেলা ভাতের জোগাড় করতে গিয়ে হারিয়ে যায়।
৩. ব্যর্থতার ভয় ও আত্মবিশ্বাসের অভাব: আমরা সাফল্যের গল্প শুনতে ভালোবাসিকিন্তু ব্যর্থতার গল্পকে ভয় পাই। দু-একবার চেষ্টা করে সফল না হলেই আমাদের মনে হয়আমাকে দিয়ে বোধহয় হবে না। এই আত্মবিশ্বাসের অভাব আমাদের ভেতরের সম্ভাবনাকে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়। নিজের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলার চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কিছু হতে পারে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যের সাফল্যের ঝলমলে ছবি দেখে আমরা নিজেদের সাধারণ জীবনটাকে নিয়ে হতাশ হই। এই তুলনা আমাদের ভেতরটাকে আরও অন্তঃসারশূন্য করে তোলে।
৪. সঠিক পথনির্দেশনার অভাব: স্বপ্ন আছেইচ্ছাশক্তিও হয়তো আছেকিন্তু কোন পথে এগোতে হবেতা জানা নেই। একজন ভালো পরামর্শদাতা বা পথপ্রদর্শকের অভাবে অনেক সম্ভাবনাময় স্বপ্ন হারিয়ে যায়। বিশেষ করে প্রান্তিক অঞ্চলের তরুণ-তরুণীরা শহরে এসে দিশেহারা হয়ে পড়ে। তাদের কাছে সঠিক তথ্য থাকে নাথাকে না কোনো সংযোগ। ফলে অনেক প্রতিভা মূল স্রোতে আসার আগেই ঝরে পড়ে।
স্বপ্নের কারিগরদের গল্প: যারা স্রোতের বিপরীতে হেঁটেছে
হতাশার কথা তো অনেক হলো। এবার কিছু মানুষের গল্প শোনা যাকযারা শত প্রতিকূলতার মাঝেও তাদের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এই গল্পগুলো আমাদের জোগাবেপথ দেখাবে।
ঢাকার ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেটের এক বহুতল ভবনের ছাদে দাঁড়িয়ে আছেন আফজাল সাহেব। পেশায় তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। ছোটবেলা থেকে তার স্বপ্ন ছিল সবুজে ঘেরা একটি বাড়িতে থাকবেননিজের হাতে ফলের গাছ লাগাবেন। কিন্তু ঢাকার ইট-পাথরের জঙ্গলে এক টুকরো মাটি পাওয়া তার জন্য প্রায় অসম্ভব ছিল। অবসরের পর যখন সবাই নাতি-নাতনি নিয়ে সময় কাটায়তখন আফজাল সাহেব শুরু করলেন তার দ্বিতীয় ইনিংস। ভবনের পরিত্যক্ত ছাদকে তিনি বানিয়ে তুললেন এক টুকরো সবুজ স্বর্গ। শত শত ফলের গাছসবজির বাগান আর ফুলের সমারোহে ভরে উঠেছে তার ছাদ। প্রতিবেশীরা এখন তাকে ‘ছাদ-কৃষক’ বলে ডাকে। তিনি শুধু নিজের স্বপ্নকেই বাঁচিয়ে রাখেননিশহরের অন্য মানুষদেরও পথ দেখাচ্ছেন কীভাবে কংক্রিটের মাঝেও এক চিলতে সবুজের স্বপ্ন দেখা যায়।
সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত এক গ্রামের মেয়ে পারভীন। ছোটবেলা থেকেই দেখতোবর্ষাকালে চারদিক যখন জলে থইথই করেতখন গ্রামের শিশুদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। পারভীনের স্বপ্ন ছিলসে এমন কিছু করবে যাতে এই শিশুদের পড়াশোনা কখনো থেমে না থাকে। অনেক কষ্টে নিজে পড়াশোনা শেষ করে তিনি গ্রামের কয়েকজন যুবককে নিয়ে চালু করলেন এক ‘নৌকা-স্কুল’। বর্ষার ছয় মাস এই নৌকা শিশুদের বাড়ির দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তাদের পাঠদান করে। শুরুতে অনেকেই তাকে নিয়ে হাসাহাসি করেছেবলেছে এ সবই পাগলামি। কিন্তু পারভীনের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে হার মেনেছে সব প্রতিকূলতা। তার এই নৌকা-স্কুল এখন হাওর অঞ্চলের অনেক শিশুর জন্য শিক্ষার আলো বয়ে বেড়াচ্ছে। পারভীন প্রমাণ করেছেনস্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে বিশাল অংকের টাকা বা ক্ষমতার প্রয়োজন হয় নাপ্রয়োজন হয় একটি ইচ্ছা আর অদম্য জেদের।
এই আফজাল সাহেব বা পারভীনের মতো মানুষেরা আমাদের শিখিয়ে দেনপরিস্থিতি যতই কঠিন হোক না কেনস্বপ্নের বীজ যদি মনের গভীরে থাকেতবে একদিন তা ঠিকই চারা হয়ে বেড়ে উঠবে।
স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখা একটি সাধনার মতো। এর জন্য প্রয়োজন ধৈর্যকৌশল আর নিরন্তর প্রচেষ্টা।
১. স্বপ্নকে ছোট ছোট লক্ষ্যে ভাগ করুন: আপনার স্বপ্ন যদি হয় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠাতবে প্রথম দিনই সেদিকে দৌড় শুরু করলে আপনি মুখ থুবড়ে পড়বেন। আপনার প্রথম লক্ষ্য হওয়া উচিত বাড়ির পাশের ছোট টিলাটিতে ওঠা। অর্থাৎবড় স্বপ্নটিকে কয়েকটি ছোটঅর্জনযোগ্য লক্ষ্যে ভাগ করে নিন। প্রতিটি ছোট লক্ষ্য পূরণ হলে আপনি আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন এবং মূল স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পাবেন।
২. একটি সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি করুন: এমন কিছু মানুষের পাশে থাকুন যারা আপনার স্বপ্নকে সম্মান করেআপনাকে উৎসাহ দেয়। তারা হতে পারে আপনার পরিবারের সদস্যবন্ধু বা কোনো পরামর্শদাতা। যখন আপনি হতাশ হয়ে পড়বেনতখন এই মানুষগুলোর কথাই আপনাকে নতুন করে শক্তি জোগাবে। নেতিবাচক মানুষ থেকে সচেতনভাবে দূরত্ব বজায় রাখুনকারণ তাদের হতাশাবাদী কথা আপনার ভেতরের আগুনকে নিভিয়ে দিতে পারে।
৩. ব্যর্থতাকে আলিঙ্গন করতে শিখুন: জেনে রাখুনস্বপ্নের পথে ব্যর্থতা আসবেই। যিনি কখনো ব্যর্থ হননিতিনি আসলে নতুন কিছু করার চেষ্টাই করেননি। প্রতিটি ব্যর্থতা একটি নতুন শিক্ষা। কেন পারলেন নাকোথায় ভুল ছিলসেটি খুঁজে বের করুন। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন উদ্যমে আবার ঝাঁপিয়ে পড়ুন। কুমোর যেমন একটি পাত্র বানাতে গিয়ে বারবার ভাঙে আর গড়েতেমনি করেই স্বপ্নের কারিগর হতে হয়।
৪. নিরন্তর শিখতে থাকুন: আপনার স্বপ্নের ক্ষেত্র সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন। বই পড়ুনঅভিজ্ঞদের সাথে কথা বলুননতুন দক্ষতা অর্জন করুন। পৃথিবী প্রতিদিন পাল্টাচ্ছে। সময়ের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে না পারলে আপনার স্বপ্ন একসময় অচল হয়ে পড়বে। শেখার কোনো শেষ নেইআর এই শেখার আগ্রহই আপনার স্বপ্নকে সজীব রাখবে।
৫. ধৈর্য আর অধ্যবসায়কে মূলমন্ত্র করুন: রাতারাতি কোনো কিছুই অর্জিত হয় না। একটি বীজ থেকে চারা গজাতেও সময়ের প্রয়োজন হয়। স্বপ্নের ক্ষেত্রেও তাই। ধৈর্য ধরে নিজের কাজটুকু করে যেতে হবে। প্রতিদিন একটু একটু করে এগিয়ে যাওয়াই একসময় আপনাকে আপনার লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। মনে রাখবেননদীর স্রোতও হাজারো বাধা পেরিয়েই সমুদ্রে মেশে।
স্বপ্ন দেখা কোনো বিলাসিতা নয়এটি মানুষের বেঁচে থাকার অন্যতম চালিকাশক্তি। স্বপ্ন ছাড়া মানুষ ঠিক যেন পালহীন নৌকার মতোযার কোনো গন্তব্য নেই। হ্যাঁজীবন কঠিন। পরিস্থিতি সবসময় আপনার অনুকূলে থাকবে না। চারপাশের মানুষ আপনাকে টেনে নামানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু এতকিছুর পরেও আপনার ভেতরের সেই ছোট্ট শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবেযে আকাশের দিকে তাকিয়ে উড়তে চেয়েছিল।
আপনার স্বপ্নটি হয়তো পৃথিবীকে বদলে দেবে নাকিন্তু তা আপনাকে বদলে দিতে পারে। আপনাকে একটি অর্থপূর্ণ জীবন দিতে পারে। তাই স্বপ্ন দেখুন। দ্বিধা ছাড়া স্বপ্ন দেখুন। আর সেই স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিজের সর্বস্ব দিয়ে লড়াই করুন। কারণযে স্বপ্নটা মরে যায়তার সাথে সাথে আমাদের ভেতরের কিছুটা অংশও মরে যায়।
আপনার স্বপ্নটি কী? আর তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপনি আজ কী করছেন? উত্তরটা নাহয় নিজের জন্যই খুঁজে বের করুন।
জীবনের সব হিসাব-নিকাশ মিলিয়ে দেখলে আমরা বুঝতে পারি টাকা-পয়সা, পদমর্যাদা কিংবা সম্মান হয়তো অনেক কিছুই এনে দেয়, কিন্তু তা কখনো স্বপ্নের বিকল্প হতে পারে না। যে মানুষটা নিজের স্বপ্নকে হত্যা করেছে, তার ভেতরে এক শূন্যতা থেকে যায়, যা কোনো সাফল্যেই পূরণ হয় না। অথচ সামান্য সাহস আর ধৈর্য দিয়ে সেই স্বপ্নটাকেই যদি আঁকড়ে ধরা যায়, তবে জীবন হয়ে উঠতে পারে অর্থপূর্ণ, অন্যদের জন্যও অনুপ্রেরণার আলোকবর্তিকা।
হয়তো আপনার স্বপ্নটি ছোট একটি বই লেখা, একটি গান গাওয়া, অথবা কোনো একদিন একটি ক্ষুদ্র বাগান তৈরি করা। কিন্তু মনে রাখবেন, ছোট্ট স্বপ্নও মানুষের ভেতরে এক বিশাল আলো জ্বালিয়ে দিতে পারে। তাই প্রশ্ন রয়ে যায় আপনি কি সেই আলো জ্বালাতে প্রস্তুত, নাকি অন্ধকারেই হারিয়ে যেতে চান?
✍️ এখন আপনার পালা
আপনার সবচেয়ে প্রিয় স্বপ্নটি কী? সেটিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আপনি আজ পর্যন্ত কী করেছেন?
👉 মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না। আর যদি লেখাটি ভালো লেগে থাকে, তবে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন হয়তো আপনার একটি শেয়ার কারও স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
স্বপ্ন, অনুপ্রেরণা, জীবনের গল্প, লড়াই, আশা, সফলতা।
🌸 আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!
আপনার মতামত আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং আগামীতে আরও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরিতে সহায়তা করে।
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা গল্প পছন্দ করে থাকেন, জানালে ভালো লাগবে।
নিয়মিত পাশে থাকুন — আপনার সহযোগিতা ও ভালোবাসাই আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি।
শুভ কামনায়,
✍️ কল্পকথা-৩৬০ ব্লগ টিম
https://kalpakatha360.blogspot.com