ভাবুন তো যদি একদিন সকালে ঘুম ভেঙে দেখেন, চারপাশের শহর-গ্রাম ভরে গেছে তরুণদের পদচারণায়, কেউ নতুন ব্যবসা শুরু করছে, কেউ বিশ্বজয়ী প্রযুক্তি বানাচ্ছে, কেউ আবার নিজের হাতের ঘামে গ্রামকে করছে আলোকিততাহলে কেমন লাগবে?
আমরা প্রায়ই দেশের সমস্যা গুনিবেকারত্ব, দুর্নীতি, বৈষম্য, রাজনৈতিক অস্থিরতা। কিন্তু খুব কমই ভেবে দেখি, এই সব সমস্যার মধ্যেই লুকিয়ে আছে সবচেয়ে বড় সমাধানআমাদের তরুণ প্রজন্ম। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো জাতিই তারুণ্যের শক্তিকে উপেক্ষা করে সামনে এগোয়নি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা সত্য।
আজকের পাঁচ কোটি তরুণ-তরুণী কেবল সংখ্যা নয়, তারা এক অদৃশ্য শক্তি। তাদের চোখের স্বপ্ন, তাদের বুকের সাহসই নির্ধারণ করবে আগামী দিনের বাংলাদেশ কেমন হবেঅচল গ্লানির, নাকি সম্ভাবনার সোনালি ভোরের। প্রশ্ন হলো আমরা কি সেই ভোরকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত?
বাংলাদেশের মাটির দিকে তাকালে দুটি জিনিস চোখে পড়েএক অফুরন্ত সবুজের সমারোহ আর দুই এই সবুজকে ছাপিয়ে ওঠা কোটি তরুণের স্বপ্নিল চোখের দীপ্তি। এই ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় সম্পদ তেল গ্যাস বা কোনো খনিজ নয়; আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর টগবগে তারুণ্য। প্রায় পাঁচ কোটিরও বেশি তরুণ-তরুণীর এক বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী যাদের শিরায় শিরায় বইছে আগামীর স্বপ্ন বুকে সাহস আর চোখে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়। প্রায়ই বলা হয় যুবকদের পাশে দাঁড়ালে তারাও পারে গড়তে এক নতুন বাংলাদেশ। এটি শুধু একটি সুন্দর কথা নয় এটিই কঠিন বাস্তবতা এবং আমাদের একমাত্র মুক্তির পথ।
কিন্তু কীভাবে সেই পথ তৈরি হবে? তারুণ্যের এই শক্তিকে আমরা কীভাবে কাজে লাগাব? তাদের পাশে দাঁড়ানোর অর্থই বা কী? চলুন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজি শহর থেকে গ্রাম কেন্দ্র থেকে প্রান্তিকের তরুণদের জীবনের গল্পে তাদের সংগ্রাম আর সম্ভাবনার গভীরে।
একবিংশ শতাব্দীর এই তরুণদের ঠিক গতানুগতিক ধারায় মাপা যাবে না। তারা কেবল চাকরির জন্য পড়ালেখা করা একটি প্রজন্ম নয়। তাদের হাতে আজ প্রযুক্তি মনে বিশ্বকে দেখার কৌতূহল এবং হৃদয়ে আছে প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্ন করার সাহস।
প্রযুক্তির অগ্রদূত: ঢাকার ধানমন্ডির এক কফিশপে বসে থাকা সাদিয়া কিংবা পঞ্চগড়ের কোনো চায়ের দোকানে স্মার্টফোনে চোখ রাখা করিমদুজনের মধ্যেই একটি মিল রয়েছে। তারা দুজনেই ডিজিটাল দুনিয়ার বাসিন্দা। সাদিয়া হয়তো তার নিজের তৈরি করা ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য নতুন কৌশল ভাবছে আর করিম ইউটিউব দেখে শিখছে কীভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে গ্রামের বেকারত্ব দূর করা যায়। এই তরুণেরা তথ্যের জন্য কারও মুখাপেক্ষী নয়। জ্ঞান এখন তাদের হাতের মুঠোয় আর এই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তারা নিজেদের ও সমাজের ভাগ্য বদলের চেষ্টা করছে। তারা ফ্রিল্যান্সিং করে প্রত্যন্ত গ্রামে বসেই আয় করছে বৈদেশিক মুদ্রা আবার কেউবা তৈরি করছে শিক্ষামূলক অ্যাপ যা বদলে দিচ্ছে হাজারো শিক্ষার্থীর পড়ার ধরণ।
উদ্যোক্তা মানসিকতা: আজকের তরুণদের একটি বড় অংশ শুধু চাকরিনির্ভর নয় তারা উদ্যোক্তা হতে চায়। তারা চায় নিজেদের ভাগ্য নিজেরা গড়তে। খুলনার এক তরুণ লবণাক্ত জমিতে কাঁকড়া চাষ করে বিদেশে রপ্তানি করার পথ খুঁজে বের করেছে। সিলেটের আরেক তরুণী নিজের বাড়ির ছাদে অর্গানিক সবজি চাষ করে শহরের মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন এবং তৈরি করেছেন নিজের একটি ব্র্যান্ড। এই ছোট ছোট উদ্যোগগুলোই একদিন বড় শিল্পে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রাখে। তাদের প্রয়োজন শুধু একটুখানি পুঁজি সঠিক প্রশিক্ষণ আর প্রশাসনিক সহযোগিতার একটি মসৃণ পথ।
সামাজিক দায়বদ্ধতা: এই প্রজন্ম শুধু নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত নয়। তারা পরিবেশ সমাজ এবং দেশের প্রতি অনেক বেশি সংবেদনশীল। নিরাপদ সড়কের দাবিতে রাজপথে নামা কিশোর-কিশোরীর মুখগুলো আমরা ভুলিনি। হাওরের বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করা বা শীতার্ত মানুষের জন্য পুরনো কাপড় সংগ্রহ করে ছুটে যাওয়াএসবই তাদের সামাজিক দায়িত্ববোধের পরিচায়ক। তারা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতন লিঙ্গবৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং দেশের যেকোনো সংকটে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত। তাদের এই শক্তিকে যদি সঠিকভাবে পরিচালিত করা যায় তবে সমাজের অনেক গভীরে থাকা ক্ষতও নিরাময় করা সম্ভব।
মুদ্রার অপর পিঠের মতো এই অপার সম্ভাবনার পাশে রয়েছে এক কঠিন বাস্তবতা। তরুণদের পথচলা মোটেও মসৃণ নয়। তাদের স্বপ্নের পথে বিছিয়ে আছে অসংখ্য কাঁটা।
শিক্ষাব্যবস্থা ও কর্মসংস্থানের ফারাক: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এখনো বহুলাংশে তত্ত্বনির্ভর। একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও যখন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে তখন সে আবিষ্কার করে যে তার পুঁথিগত বিদ্যার সাথে বাস্তব কাজের কোনো মিল নেই। ফলে তৈরি হচ্ছে এক বিশাল শিক্ষিত বেকার শ্রেণি। তাদের এই হতাশা কেবল ব্যক্তিগত জীবনে সীমাবদ্ধ থাকে না এটি পরিবার ও সমাজেও এক ধরনের গ্লানি তৈরি করে। জামালপুরের মফস্বল শহর থেকে ঢাকায় আসা এক তরুণের গল্পটা শোনা যাক। সেরা ফলাফল নিয়ে পাশ করার পরেও শুধু বাস্তব অভিজ্ঞতার অভাবে কোনো চাকরিতে টিকতে না পেরে সে আজ কতটা বিপর্যস্ত সেই খবর কজনই বা রাখে? তার মতো লক্ষ তরুণের দীর্ঘশ্বাস বাংলাদেশের বাতাসে মিশে আছে।
মানসিক স্বাস্থ্যের অবহেলা: তীব্র প্রতিযোগিতা পরিবারের আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চাকচিক্যের সাথে নিজের জীবনের তুলনা এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যৎএই সবকিছু মিলে তরুণদের ওপর তৈরি করছে এক অসহনীয় মানসিক চাপ। কিন্তু আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলাটা এখনো এক ধরনের ট্যাবু। ফলে বহু তরুণ নীরবে অবসাদ উদ্বেগ আর হতাশায় ডুবে যাচ্ছে। তাদের মনের খবর শোনার মতো তাদের কাঁধে হাত রেখে ‘সব ঠিক হয়ে যাবে’ বলার মতো মানুষের বড়ই অভাব। এই মানসিক অসুস্থতা তাদের কর্মক্ষমতা কেড়ে নিচ্ছে ঠেলে দিচ্ছে এক অন্ধকার জগতে।
সুযোগের অসম বণ্টন: ঢাকার একজন তরুণের জন্য যে সুযোগ-সুবিধা সহজলভ্য বান্দরবানের কোনো প্রত্যন্ত গ্রামের তরুণের জন্য তা কেবলই স্বপ্ন। ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইন্টারনেট সেবা স্বাস্থ্যসেবাসবকিছুই যেন শহরকেন্দ্রিক। এই বৈষম্যের কারণে প্রান্তিক অঞ্চলের বহু প্রতিভাবান তরুণ সঠিক সুযোগের অভাবে ঝরে পড়ে। তাদের মেধা ও শ্রমকে আমরা জাতীয় উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারছি না। এটি কেবল ব্যক্তির ক্ষতি নয় এটি সমগ্র জাতির অপূরণীয় ক্ষতি।
তরুণদের পাশে দাঁড়ানো মানে তাদের প্রতি করুণা বা দয়া দেখানো নয়। এর অর্থ হলো তাদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা যেখানে তারা নিজেদের স্বপ্নগুলোকে ডানা মেলার সুযোগ পাবে। এই দায়িত্ব আমাদের সকলেরপরিবার সমাজ ও রাষ্ট্রের।
১. পরিবারের ভূমিকা: প্রত্যাশার চাপ নয় দিন আত্মবিশ্বাসের রসদ
পরিবারের উচিত সন্তানের ওপর ‘ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার’ হওয়ার স্বপ্ন চাপিয়ে না দিয়ে তার আগ্রহ ও প্রতিভাকে গুরুত্ব দেওয়া। যে সন্তান ছবি আঁকতে ভালোবাসে তাকে হয়তো একজন ভালো শিল্পী হওয়ার উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে। যে খেলাধুলায় ভালো তার জন্য ক্রীড়াবিদ হওয়ার পথ খুলে দেওয়া যেতে পারে। প্রচলিত পেশার বাইরেও যে সফল হওয়ার অসংখ্য পথ রয়েছে এই বিশ্বাসটি পরিবারকেই সন্তানের মনে গেঁথে দিতে হবে। ব্যর্থতায় তিরস্কার না করে পাশে থেকে সাহস জোগানোই পরিবারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। মনে রাখতে হবে একটি আত্মবিশ্বাসী তরুণই পারে যেকোনো বাধা অতিক্রম করতে।
২. সমাজের ভূমিকা: সমালোচক নয় হোন পথপ্রদর্শক
আমাদের সমাজের একটি বড় সমস্যা হলো আমরা খুব দ্রুত অন্যের সমালোচনা করি। কোনো তরুণ নতুন কিছু করতে চাইলে আমরা তার ভুল ধরতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এই নেতিবাচক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তরুণদের নতুন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে হবে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা তরুণদের জন্য ‘মেন্টর’ বা পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারেন। তাদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান তরুণদের চলার পথকে সহজ করে দেবে। তরুণদের ছোট ছোট সাফল্যকে উদযাপন করার একটি সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে যা তাদের আরও বড় কাজ করতে উৎসাহিত করবে।
৩. রাষ্ট্রের ভূমিকা: নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন
রাষ্ট্রকে তরুণদের জন্য সবচেয়ে বড় সহায়কের ভূমিকা পালন করতে হবে। এর জন্য কিছু সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি:
শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার: পাঠ্যক্রমকে যুগোপযোগী ও কর্মমুখী করতে হবে। তত্ত্বের পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। কারিগরি শিক্ষাকে আরও গুরুত্ব দিয়ে সমাজের কাছে একে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।
সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা: যে তরুণরা উদ্যোক্তা হতে চায় তাদের জন্য সহজ শর্তে ও জামানতবিহীন ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য কমিয়ে তাদের জন্য ব্যবসা শুরু করার প্রক্রিয়াটিকে সহজ করতে হবে।
প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের বিস্তার: দেশের প্রতিটি প্রান্তে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে হবে। তরুণদের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে যা তাদের বিশ্ব বাজারের জন্য প্রস্তুত করবে।
মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা: প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। এটি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
সুযোগের বিকেন্দ্রীকরণ: উন্নয়নকে কেবল শহরকেন্দ্রিক না রেখে গ্রাম ও প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। গ্রামে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও কাজের সুযোগ তৈরি হলে তরুণদের ঢাকামুখী স্রোত কমবে এবং সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।
তারুণ্য এক বহমান নদীর মতো। একে সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারলে তা দিয়ে উর্বর হবে দেশের প্রতিটি ক্ষেত্র আর বাধা দিলে তা দুকূল ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। বাংলাদেশের তরুণরা প্রস্তুত। তাদের বুকে আছে হিমালয়ের মতো সাহস আর হৃদয়ে আছে বঙ্গোপসাগরের মতো বিশাল স্বপ্ন। তারা চায় সুযোগ চায় একটুখানি ভরসা।
আমরা যদি তাদের এই পথচলায় সামান্যতম সঙ্গী হতে পারি তাদের পিঠে হাত রেখে বলতে পারি ‘এগিয়ে যাও আমরা আছি’ তবেই রচিত হবে এক নতুন ইতিহাস। সেই ইতিহাসে লেখা থাকবে না বেকারত্বের গ্লানি বা হতাশার গল্প। লেখা থাকবে সাদিয়ার মতো নগরজয়ী উদ্যোক্তার কথা লেখা থাকবে করিমের মতো গ্রামীণ স্বপ্নদ্রষ্টার সাফল্যের কাহিনি। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যে নতুন বাংলাদেশের ছবি আঁকা হবে তা হবে আরও সবুজ আরও সমৃদ্ধ এবং আরও মানবিক।
আসুন আমরা সেই ক্যানভাসটি তাদের হাতে তুলে দিই এবং তাদের স্বপ্নের রঙে রাঙিয়ে তুলতে নিঃশর্তভাবে পাশে দাঁড়াই। কারণ এই তরুণরাই গড়বে আমাদের কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলাদেশ।
তারুণ্যকে আমরা শুধু একটি বয়সের সংজ্ঞায় আবদ্ধ করতে পারি না। তারুণ্য হলো এক শক্তি, এক অগ্নিশিখা, যা চাইলে পৃথিবীর অন্ধকারকেও আলোকিত করতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হলোআমরা কি সেই শিখাকে প্রজ্জ্বলিত করছি, নাকি অবহেলায় নিভিয়ে দিচ্ছি?
যে বাংলাদেশকে আমরা স্বপ্ন দেখি দুর্নীতিমুক্ত, বৈষম্যহীন, কর্মসংস্থানে সমৃদ্ধ, প্রযুক্তিতে এগিয়ে তা কেবল তরুণদের হাতেই সম্ভব। কারণ তাদের ভেতরেই আছে নতুন চিন্তা, সাহসী স্বপ্ন আর ভাঙচুরের মতো শক্তি। তবে সেই শক্তি যদি সঠিক দিক না পায়, তাহলে তা একদিন আমাদের বিরুদ্ধেও দাঁড়াতে পারে।
আজকের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে আগামী প্রজন্ম কেমন বাংলাদেশ পাবে। আমরা কি তাদের হাতে একটি আলোকিত ক্যানভাস তুলে দেব, নাকি অন্ধকার ও হতাশায় ভরা এক অচল সমাজ?
👉 এখন প্রশ্ন হলো আপনি নিজে কীভাবে তরুণদের পাশে দাঁড়াতে চান?
👉 আপনার আশেপাশে এমন কোনো তরুণ আছেন, যিনি স্বপ্ন নিয়ে সংগ্রাম করছেন? আপনি কি তাকে সহায়তা করতে রাজি?
✍️ আপনার মতামত লিখুন মন্তব্যে।
🔗 যদি লেখাটি আপনাকে ভাবতে বাধ্য করে, তবে অবশ্যই শেয়ার করুন হয়তো আপনার একটি শেয়ারই কোনো তরুণের জন্য নতুন পথের দরজা খুলে দিতে পারে।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম, তারুণ্যের সম্ভাবনা, নতুন বাংলাদেশ, যুব উন্নয়ন।


🌸 আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!
আপনার মতামত আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং আগামীতে আরও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরিতে সহায়তা করে।
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা গল্প পছন্দ করে থাকেন, জানালে ভালো লাগবে।
নিয়মিত পাশে থাকুন — আপনার সহযোগিতা ও ভালোবাসাই আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি।
শুভ কামনায়,
✍️ কল্পকথা-৩৬০ ব্লগ টিম
https://kalpakatha360.blogspot.com