নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন লাইব্রেরির পুরনো আর্কাইভে বসে থাকা এক বাঙালি ছেলেকে নিয়ে কেউ ভাবেনি সে একদিন একটি কবিতা দিয়ে সাড়া ফেলে দেবে।
নাম—আফতাব রহমান।
তার লেখা একটি বাংলা কবিতা হঠাৎ ভাইরাল হয়ে যায়:
“আমি মিথ্যা, আমি মোহ, আমি মায়া...”
দেখতে দেখতে অনুবাদ হয় ১৮টি ভাষায়। ইউরোপ, জাপান, এমনকি মেক্সিকোতেও রেডিও উপস্থাপকরা আবৃত্তি করে শোনান।
কিন্তু রহস্য শুরু হয় তখন, যখন একেকজন পাঠক দাবি করতে থাকে—এই কবিতাটি তাদের নিজের জীবনের গল্প।
তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে, যারা বলে,
“এই কবিতার প্রেমিক আমার মৃত প্রেমিকের হুবহু কণ্ঠস্বর!”
“এই শব্দগুলো আমি আমার স্বপ্নে শুনেছি।”
আরও অদ্ভুত ব্যাপার হলো—এই কবিতাটি যেদিন ভাইরাল হয়, তিনটি দেশে তিনটি অজানা মৃত্যুর রিপোর্টে একই সময় লেখা থাকে: “৩:১৭ AM”
আফতাব নিজেও বিভ্রান্ত। কবিতাটি সে লিখেছে এক রাতে, আধো ঘুমের মধ্যে, যেন কেউ তার কানে কানে বলেছিল। লেখার পরে তার মনে পড়ে, এই লাইনগুলো কে যেন আগেও বলেছিল, বহু বছর আগে। কিন্তু কবে? কে? মনে করতে পারে না।
সে ফিরছে বাংলাদেশে। তার গ্রামের বাড়ি—পটুয়াখালীর এক নিঃসঙ্গ নদীর পাড়ে একটি পুরোনো দোতলা বাড়ি।
বাড়িতে ফিরে সে খুঁজে পায় একটি পুরনো চিঠি—চিঠির কাগজ পুড়ে যাওয়া, কিন্তু কিছু বাক্য পরিষ্কার:
“যদি কখনও তুমি সত্যকে ভুলে যাও,
মনে রেখো—আমি সেই প্রেমিক মিথ্যা,
যে তোমাকে ভালোবেসে
চিরকাল সত্য হয়ে থাকবে।”
চিঠির নিচে নাম নেই।
কিন্তু সেই মুহূর্তে আফতাবের স্মৃতিতে বিস্ফোরণ ঘটে।
সে যেন দেখতে পায়—একজন মেয়ে, তার চোখ দুটো ঘোরলাগা। এক সময় তারা ছিল প্রেমে, কিন্তু মেয়েটি কোনো এক অজানা পরিণতির শিকার হয়েছিল।
তবে ভয়ংকর সত্য তখনই প্রকাশ পায়, যখন ঘরের আয়নায় সে নিজেকে দেখে না।
বরং আয়নায় ভেসে ওঠে সেই মেয়ের মুখ—ভাঙা কণ্ঠে সে বলে,
“তুমি লিখেছো যা আমি শুনাতে চেয়েছিলাম,
কিন্তু তুমি তো এখন আর সত্য নও।
তুমি সেই মিথ্যা,
যাকে আমি বেঁধে রেখেছিলাম আমার হৃদয়ে—
সেই ৩:১৭ মিনিট থেকে আজও।”
ঘরের ঘড়িটি তখন ঠিক ৩:১৭ বাজায়। বাতাস জমে যায়। শব্দ হয় না।
হঠাৎ আলো নিভে যায়।
পরদিন স্থানীয় পুলিশ খুঁজে পায়—ঘরে কবি নেই।
তবে তার ডেস্কে একটি লেখা পাওয়া যায়, ইংরেজি ও বাংলায় দু’টি লাইন—
“Love is the illusion that leaves truth echoing forever.”
“আমি শুধু এক প্রেমিক মিথ্যা,
যে তোমাকে ভালোবেসে চিরকাল সত্য হয়ে থাকবো।”
ঘড়িটি আজও সেই ঘরে চলছে...
শুধু এক সময়েই থেমে যায়—৩:১৭
সেই বিখ্যাত কবিতাটি....... শুরু এখান থেকে........
আমি মিথ্যা, আমি মোহ, আমি মায়া।
যে রূপ তোমার চোখে ধাঁধা লাগায়,
আমি সেই মায়াবী পুরুষ।
কিন্তু জানো পাষাণী, সেই যে সত্য ছিল,
যে ছিল রণসংগীতের ধ্বনি,
সে পিপাসার্ত পুরুষ,
আজও বেঁচে আছে তোমার হৃদয়ে।
তুমি চলে গেছ, সময় থেমে থাকেনি,
কিন্তু হৃদয়ের ঘড়ি এখনো বাজে
সেই তোমার নামের তালে তালে।
ভালোবাসা কি মোহ ছিল?
নাকি এক বিনাশী নেশা—
যা একবার হৃদয় ছুঁলে
শত যুগেও থামে না তার ধ্বনি।
আমি এখন আর কবিতা লিখি না,
আমি জ্বলি—
আগুনে, অশ্রুতে, অপেক্ষায়।
তুমি ছিলে আমার শেষ সত্য—
আর আমি?
আমি শুধু এক প্রেমিক মিথ্যা,
যে তোমাকে ভালোবেসে
চিরকাল সত্য হয়ে থাকবো।
----কবিতা শেষ কিন্তু ভালোবাসার মোহ শেষ হয়নি-----
সেই প্রেমিক মিথ্যা – ৩:১৭ এর প্রেম ও প্রেতাত্মার কবিতার রহস্যজনক গল্প।
the lover of illusion 3:17am love death.
এক বাঙালি কবি, একটি রহস্যময় চিঠি, আর রাত ৩:১৭ এর সময়ে থেমে থাকা প্রেমের গল্প—এই ভয়াবহ, গভীর ও আবেগপ্রবণ ফিকশনটি বাংলা ও আন্তর্জাতিক পাঠকদের হৃদয়ে ঝড় তুলবে।
নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন পাবলিক লাইব্রেরির আর্কাইভ রুম। ঘরের বাতাসে এক ধরনের প্রাচীনতার ঘ্রাণ মিশে থাকে, আর ধুলো জমে থাকা বইগুলো যেন অতীতের কান্না জমানো মুখ। আফতাব রহমান, একজন বাংলাদেশি গবেষক ও কবি, বইয়ের পৃষ্ঠায় মাথা গুঁজে সারাদিন থাকে।
কিন্তু এক রাতে, হঠাৎ ঘুম ভেঙে গিয়ে সে লিখে ফেলে একটি কবিতা, যেটি তার জীবনকে উল্টে দেয়:
> “আমি মিথ্যা, আমি মোহ, আমি মায়া।
> যে রূপ তোমার চোখে ধাঁধা লাগায়,
> আমি সেই মায়াবী পুরুষ।”
সেই কবিতা ভাইরাল হয়ে যায়। ইউরোপের আর্ট গ্যালারিতে, জাপানের রেডিওতে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে—সবখানে এই লাইন কণ্ঠে কণ্ঠে ফিরতে থাকে।
কিন্তু অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে—যেই পাঠক এই কবিতা পড়ে, কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে। কেউ বলে, “এই কবিতার শব্দ আমি আমার মৃত প্রেমিকের কণ্ঠে শুনেছি।”
আরো ভয়ংকর ব্যাপার হলো, কবিতাটি ভাইরাল হওয়ার দিন, তিনটি দেশের তিনজন কবি মারা যান ঠিক একই সময়ে:
⚠️ 3:17 AM ⚠️
আফতাব সিদ্ধান্ত নেয় ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে যাবে। পটুয়াখালীর এক পুরোনো গ্রামের দোতলা কাঠের বাড়ি—যেখানে তার শৈশব কেটেছে, জান্নাতের সঙ্গে প্রথম প্রেম হয়েছিল।
১৭ বছর আগে, এক বন্যার রাতে জান্নাত হারিয়ে গিয়েছিল। আর আজ, ঠিক সেই মেয়েটির স্মৃতি ফের আফতাবের কবিতায় ফিরে আসে।
ঘরে ঢুকেই সে খুঁজে পায় একটি পোড়া চিঠি। হাতে তুলে নিতেই লেখা পড়া যায়:
> “তুমি ভুলে গেছো, তাই বলছি আবার।
> আমি সেই প্রেমিক মিথ্যা,
> যাকে তুমি ভালোবেসেছিলে চাঁদের রাতে,
> আর যাকে হারিয়ে তুমি পেয়েছিলে সত্যের মৃত্যুকে।”
চিঠির নিচে কোনো নাম নেই। কিন্তু লাইনগুলো যেন রক্তে আগুন লাগায়। আফতাব থমকে যায়। জান্নাত...?
এক রাতে, ঘুম আসে না। কবিতার খাতা ছুঁয়ে দেখে সে যেন আগুনে পুড়ছে। আয়নার সামনে দাঁড়াতেই হঠাৎ চোখ স্থির হয়ে যায়।
নিজেকে সে দেখতে পায় না। বরং এক নারীর মুখ—নির্মল, শীতল, অপার্থিব। জান্নাত?
তার ঠোঁট নড়ে, কিন্তু শব্দ আসে না। তারপর হঠাৎ কণ্ঠ ভেসে আসে ভিতর থেকে—
> “তুমি ভুলে গেছো কে তুমি।
> আমি সেই প্রেত, যে তোমার কবিতায় বন্দী ছিলাম।
> তুমি লিখেছো যা আমি বলতে চেয়েছিলাম।
> কিন্তু এখন তুমি আর কবি নও। তুমি এক প্রতিধ্বনি।
> তুমি সেই প্রেমিক মিথ্যা।”
ঘড়ি তখন ঠিক ৩:১৭ AM। বাতাস হিম। বাতি নিভে যায়। দরজা আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যায়।
পরদিন, আফতাব পুরনো ট্রাঙ্ক খুলে পায় এক নোটবুক—তাতে জান্নাতের হাতের লেখা।
তাতে লেখা:
> “আমার মৃত্যু হয়নি, আমি ছায়া হয়ে আছি।
> তুমি লিখেছো যেসব কবিতা, সেগুলো আমার আত্মা লিখিয়েছে।
> তুমি প্রেমিক মিথ্যা, কারণ সত্য কোনোদিন এমন গভীর ভালোবাসা দিতে পারে না।
> আমি থাকবো—যতদিন তুমি লিখো।”
বন্যার রাতে জান্নাত হারিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তার লাশ কখনো মেলেনি। গ্রামের একজন প্রবীণ বলেছিল, “সেই রাতে জান্নাতের চোখ ছিল অন্যরকম। যেন সে কাউকে ডেকে আনছে, আর ফিরে যাচ্ছে না।”
আর সেই রাতেও ঠিক ৩:১৭এ গ্রামের ঘড়ির কাঁটা থেমে গিয়েছিল। তারপর থেকে কেউ সে ঘর ব্যবহার করেনি।
রাত গভীর হলে জান্নাতের কণ্ঠে কেবল একটি জিজ্ঞাসা—
👉“তুমি কি আমাকে মনে রেখেছিলে, নাকি কবিতায় বন্দী করেছিলে?”👈
আফতাব চিৎকার করে বলে, “আমি ভালোবেসেছিলাম!”
তারপর জান্নাতের আত্মা তার সামনে দাঁড়ায়। চোখে অশ্রু, ঠোঁটে হালকা হাসি।
> “তবে এসো। শেষ কবিতাটি আমরা একসঙ্গে লিখি।”
ডেস্কে রাখা খাতায় হাত রাখে দুজন। খাতাটি নিজে নিজে খুলে যায়। কালি ছড়িয়ে পড়ে। লেখা হয়—
> “আমি এখন আর কবিতা লিখি না,
> আমি জ্বলি—
> আগুনে, অশ্রুতে, অপেক্ষায়।
> তুমি ছিলে আমার শেষ সত্য—
> আর আমি?
> আমি শুধু এক প্রেমিক মিথ্যা,
> যে তোমাকে ভালোবেসে
> চিরকাল সত্য হয়ে থাকবো।”
ঘড়ি আবার থামে: ৩:১৭ AM।
🧠 ৮. পাঠকদের জন্য প্রশ্ন
এই গল্প যদি তোমার হৃদয়ে একবারও কাঁপন তোলে, তাহলে নিজেকে জিজ্ঞাসা করো:
> ভালোবাসা কি মোহ? নাকি চিরন্তন প্রেত?
> আর তুমি কি কখনো ৩:১৭এ ঘুম ভেঙে উঠে নিজেকে আয়নায় দেখেছো?
রহস্যময় প্রেমের গল্প,
৩:১৭ গল্প,
বাংলা হরর ফিকশন,
প্রেতাত্মা ভালোবাসা গল্প,
Viral Bangla Fiction,
supernatural love story in Bangla,
Bengali paranormal romance,
প্রেমিক মিথ্যা ফিকশন,
তুমি বিশ্বাস করো, কিছু ভালোবাসা শেষ হয় না। তারা শুধু রাত্রির নীরবতায় কবিতা হয়ে ফিরে আসে।
🔁 #সেই\ #প্রেমিক\ #মিথ্যা
📍 ৩:১৭.
📚 #BanglaFiction, #LoveBeyondDeath,
🌸 আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!
আপনার মতামত আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং আগামীতে আরও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরিতে সহায়তা করে।
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা গল্প পছন্দ করে থাকেন, জানালে ভালো লাগবে।
নিয়মিত পাশে থাকুন — আপনার সহযোগিতা ও ভালোবাসাই আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি।
শুভ কামনায়,
✍️ কল্পকথা-৩৬০ ব্লগ টিম
https://kalpakatha360.blogspot.com