তমাল একজন ফ্রিল্যান্সার গ্রাফিক ডিজাইনার। ঢাকার মিরপুরে ছোট একটি বাসায় বসে কাজ করেন দেশ-বিদেশের ক্লায়েন্টদের জন্য।
সেদিন ছিল শুক্রবার রাত — সময় ঠিক ১১টা। ক্লায়েন্টের প্রজেক্ট সাবমিট করতে হবে রাত ১২টার মধ্যে।
চা বানিয়ে ডেস্কে ফিরে এসে দেখলেন, উইন্ডোজ একেবারে অন্যরকম!
"Installing updates… 35%"
চোখ কপালে!
তিনি তো জানতেনই না যে পিসি আপডেট নিচ্ছে।
আধঘণ্টা কেটে গেলো, তারপর আরেক বিস্ময় —
Photoshop খুলছে না।
Pen tablet কাজ করছে না।
Wi-Fi নিজে থেকে ডিসকানেক্ট হয়ে যাচ্ছে।
তমাল আতঙ্কিত হয়ে পড়লেন। ক্লায়েন্ট বারবার জিজ্ঞেস করছে — "Files ready yet?"
শেষমেশ, কোনোভাবে ফোন হটস্পট চালিয়ে পুরনো ফাইল পাঠিয়ে কাজ জমা দিলেন, কিন্তু মনে থাকল সেই দুঃসহ এক ঘণ্টা — যেখানে তিনি আপডেটের ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলেন।
সেই রাতের পর থেকে তমাল প্রতিবার আপডেট দেয়ার আগে System Restore Point তৈরি করেন, এবং কাজের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলোতে “Active Hours” চালু রাখেন — যেন আর এমন অভিজ্ঞতা না হয়।
এই গল্প আমাদের সকলেরই পরিচিত। হয়তো আপনি তমাল এর মতো ফ্রিল্যান্সার, বা ছাত্র, বা অফিস কর্মী — কিন্তু প্রযুক্তি-নির্ভরতায় আমরা সবাই একই নৌকায়।
আপনি কি এমন কোনো অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গেছেন? তাহলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না —
আপনার গল্প হয়তো আরেকজনকে ভবিষ্যতের বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে। 😊
Windows update 2025, Windows old problems, Windows fix guide, Windows troubleshooting, Windows performance issues,আপনি কি কখনও এমন অবস্থায় পড়েছেন, যেখানে উইন্ডোজে নতুন আপডেট দেওয়ার পর মনে হয়েছে — "হায় রে! আগের চেয়েও খারাপ হয়ে গেল"?
বিশ্বাস করুন, আপনি একা নন।
২০২৫ সালের জুলাই মাসে অনেক ব্যবহারকারী একই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছেন। নতুন আপডেটের পর কেউ হারাচ্ছেন অটো-সেভ ফাংশন, কারও টাচপ্যাড আচমকা অকার্যকর, আবার কারও কম্পিউটার স্টার্ট নিতেই এক যুগ লাগছে! যতই আধুনিক হোক না কেন, কিছু পুরনো সমস্যা যেন উইন্ডোজকে কিছুতেই ছাড়ছে না।
আপডেট মানেই নতুন সুবিধা — আমরা তা আশা করি। কিন্তু যখন সেই আপডেট আপনার কাজ থামিয়ে দেয়, বা আপনাকে দিনের শেষে বিরক্তির চূড়ায় পৌঁছে দেয়, তখন দরকার হয় সঠিক গাইড আর কার্যকর সমাধান।
এই ব্লগে আমরা বলব:
📌 কোন কোন সমস্যা আবার ফিরে এসেছে এই আপডেটে?
📌 কেন এগুলো ঘটছে?
📌 এবং সবচেয়ে জরুরি—আপনি ঘরে বসেই কীভাবে সমাধান করতে পারেন?
চলুন, জেনে নিই — নতুন আপডেটে পুরনো এই “দুষ্ট” বাগগুলোর ফাঁদ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।
১. উইন্ডোজ 11 এর র্যাম লিক সমস্যা (RAM Leak)
🔷 সমস্যা:
👉 অনেক ব্যবহারকারী লক্ষ্য করেছেন, উইন্ডোজ 11 আপডেটের পর তাদের সিস্টেমের র্যাম ক্রমশ ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু ফ্রি মেমোরি রিফ্রেশ হচ্ছে না।
👉 এতে সিস্টেম ধীর হয়ে যায়, হ্যাং বা ক্র্যাশ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
🔷 কারণ:
👉 মেমোরি ব্যবস্থাপনার ভুল বা এক ধরনের মেমোরি লিক যা পেছনে চলা কিছু প্রসেস মেমোরি ক্লিয়ার না করে ধরে রাখে।
👉 প্রধানত ‘Windows Update’ এবং কিছু তৃতীয় পক্ষের সফটওয়্যার থেকে এই সমস্যা তৈরি হয়।
🔷 সমাধান:
👉 টাস্ক ম্যানেজার খুলুন (Ctrl + Shift + Esc), প্রোসেস ট্যাবে ‘Memory’ কলামে ক্লিক করে সর্বোচ্চ র্যাম ব্যবহারের প্রোগ্রামগুলো চিহ্নিত করুন।
🔷 অপ্রয়োজনীয় প্রসেস বন্ধ করুন।
👉 ‘Windows Memory Diagnostic’ টুল চালান: স্টার্ট > Windows Memory Diagnostic > Restart now and check.
👉 কাস্টমাইজড স্ক্রিপ্ট দিয়ে নিয়মিত মেমোরি ক্লিয়ার করার জন্য EmptyStandbyList নামের কমান্ড লাইন টুল ব্যবহার করতে পারেন (PowerShell এ)।
👉 উইন্ডোজ আপডেটের জন্য নিয়মিত চেক করুন, কারণ মাইক্রোসফট ইতিমধ্যে র্যাম লিক সমস্যার প্যাচ ডেলিভারি শুরু করেছে।
২. উইন্ডোজ আপডেট ইনস্টলেশন সমস্যা (Update Installation Failed)
🔷 সমস্যা:
👉 উইন্ডোজ আপডেট ইনস্টল করতে গিয়ে বারবার "Installation Failed" বা "Error 0x80070057" এরর দেখায়।
👉 এ কারণে নিরাপত্তা আপডেট না আসা এবং নতুন ফিচার ব্যবহার না করা যায়।
🔷 কারণ:
👉 করাপ্টেড আপডেট ফাইল, ইনসাফিসিয়েন্ট ডিস্ক স্পেস, বা সিস্টেম ফাইলে ত্রুটি।
👉 3rd party অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার আপডেট ব্লক করতে পারে।
🔷 সমাধান:
👉 Windows Update Troubleshooter চালান: Settings > System > Troubleshoot > Other troubleshooters > Windows Update > Run।
🔷 ডিস্ক ক্লিনআপ করুন (Start এ Disk Cleanup টাইপ করে চালু করুন)।
Command Prompt এ নিচের কমান্ডগুলো চালান (Admin হিসেবে):
➡️ net stop wuauserv
➡️ net stop bits
➡️ ren C:\Windows\SoftwareDistribution SoftwareDistribution.old
➡️ net start wuauserv
➡️ net start bits
👉 সিস্টেম ফাইল চেক করতে sfc /scannow এবং DISM /Online /Cleanup-Image /RestoreHealth কমান্ড রান করুন।
👉 অ্যান্টিভাইরাস সাময়িক বন্ধ করে আপডেট চেষ্টা করুন।
৩. ডিভাইস ড্রাইভার কম্প্যাটিবিলিটি সমস্যা
🔷 সমস্যা:
👉 বিশেষ করে নতুন হার্ডওয়্যার (GPU, প্রিন্টার) উইন্ডোজ ১১ বা উইন্ডোজ ১০ এর সর্বশেষ আপডেটের সাথে সামঞ্জস্য না হওয়ার কারণে ডিভাইস কাজ বন্ধ করে দেয় বা ক্র্যাশ হয়।
🔷 কারণ:
👉 পুরানো ড্রাইভার বা সফটওয়্যার নির্মাতাদের পক্ষ থেকে আপডেট না পাওয়া।
🔷 সমাধান:
👉 ডিভাইস ম্যানেজার থেকে ড্রাইভার আপডেট করুন।
👉 নির্মাতার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ ড্রাইভার ডাউনলোড করুন।
👉 ড্রাইভার রোলব্যাক বা ডিভাইস আনইনস্টল করে রিস্টার্ট করে পুনরায় ইনস্টল করুন।
👉 নতুন ডিভাইসের জন্য উইন্ডোজ ইনসাইডার প্রিভিউ ব্যবহার করতে পারেন যারা দ্রুত আপডেট পেতে চান।
৪. স্টার্ট মেনু বা টাস্কবার কাজ না করা
🔷 সমস্যা:
👉 উইন্ডোজ স্টার্ট মেনু খোলা যাচ্ছে না বা টাস্কবার ঠিকমতো রেসপন্ড করছে না।
🔷 কারণ:
👉 করাপ্টেড ইউআই প্রসেস, ত্রুটিপূর্ণ আপডেট বা 3rd party সফটওয়্যার।
🔷 সমাধান:
👉 PowerShell এ নিচের কমান্ড দিয়ে স্টার্ট মেনু পুনরায় রেজিস্টার করুন:
👉 Get-AppXPackage -AllUsers | Foreach {Add-AppxPackage -DisableDevelopmentMode -Register "$($_.InstallLocation)\AppXManifest.xml"}
👉 নতুন ইউজার প্রোফাইল তৈরি করে দেখুন সমস্যা সলভ হয় কিনা।
👉 ‘System File Checker’ চালান: sfc /scannow
👉 সমস্যা চলতে থাকলে ‘Windows Explorer’ পুনরায় রিস্টার্ট করুন টাস্ক ম্যানেজার থেকে।
৫. উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল বা নেটওয়ার্ক সমস্যা
🔷 সমস্যা:
👉 নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি সমস্যা: ওয়াই-ফাই বা ইথারনেট কানেকশন বার বার ডিসকানেক্ট বা কাজ করছে না।
👉 ফায়ারওয়াল সেটিংস অনির্দিষ্টভাবে ব্লক করছে নির্দিষ্ট অ্যাপ বা সার্ভিস।
🔷 কারণ:
👉 সিস্টেম আপডেটের পরে নেটওয়ার্ক ড্রাইভার বা কনফিগারেশন বদলে যাওয়া।
👉 3rd party ফায়ারওয়াল সফটওয়্যার কনফ্লিক্ট।
🔷 সমাধান:
👉 নেটওয়ার্ক রিসেট করুন: Settings > Network & Internet > Advanced network settings > Network reset।
👉 কমান্ড প্রম্পটে নিচেরগুলো রান করুন:
ipconfig /release
ipconfig /renew
ipconfig /flushdns
netsh winsock reset
👉 ফায়ারওয়াল সেটিংসে গিয়ে প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন অনুমতি দিন।
👉 ড্রাইভার আপডেট বা রোলব্যাক করুন।
👉 3rd party ফায়ারওয়াল অস্থায়ী নিষ্ক্রিয় করুন।
৬. উইন্ডোজ সিকিউরিটি ও অ্যান্টিভাইরাস সমস্যা
🔷 সমস্যা:
👉 উইন্ডোজ সিকিউরিটি (Windows Defender) ঠিকমতো চালু হচ্ছে না, অথবা বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
🔷 কারণ:
👉 3rd party অ্যান্টিভাইরাস ইন্সটল থাকা অথবা করাপ্টেড উইন্ডোজ ফাইল।
🔷 সমাধান:
👉 3rd party অ্যান্টিভাইরাস সম্পূর্ণ আনইনস্টল করুন।
👉 সিস্টেম ফাইল চেকার ও ডিসিএম টুল চালান (sfc ও dism)।
👉 উইন্ডোজ সিকিউরিটি পুনরায় সেটআপ বা রিসেট করুন।
👉 যদি সমস্যা থেকে যায়, ক্লিন বুট মোডে চালিয়ে সমস্যা নির্ণয় করুন।
➡️ বিশেষ টিপস: উইন্ডোজ সিস্টেমের পারফরমেন্স বাড়ানোর জন্য
Startup Items কমান: টাস্ক ম্যানেজার > Startup থেকে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার নিষ্ক্রিয় করুন।
➡️ Disk Cleanup ও Defragmentation চালান নিয়মিত।
➡️ Windows Update নিয়মিত চালান।
➡️ বড় ফাইল ও পুরনো সফটওয়্যার ডিলিট করুন।
➡️ RAM এবং SSD আপগ্রেড করলে পারফরমেন্স অনেক বেড়ে যায়।
নিচে সহজ ভাষায় আরো কিছু "উইন্ডোজে নতুন আপডেট, পুরনো সমস্যা! জেনে নিন করণীয়" বিষয়ক সমস্যার তালিকা, কারণ বিশ্লেষণ এবং ধাপে ধাপে সমাধান তুলে ধরা হলো :
🔍 সমস্যা ১: আপডেটের পর কম্পিউটার অনেক স্লো হয়ে গেছে
সম্ভাব্য কারণ:
নতুন আপডেটের পরে ব্যাকগ্রাউন্ডে অপ্রয়োজনীয় প্রসেস বা সার্ভিস চলতে থাকে। পুরোনো হার্ডওয়্যারও অনেক সময় নতুন আপডেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পারে না।
সমাধান:
প্রথমে Task Manager খুলে দেখুন কোন অ্যাপ বা প্রসেস বেশি CPU বা RAM খাচ্ছে।
Startup অ্যাপে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার অক্ষম করুন।
Storage Sense চালু করুন যাতে অপ্রয়োজনীয় ফাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়।
আপনার পিসিতে SSD না থাকলে আপগ্রেড করে নিতে পারেন, এতে পারফরম্যান্স অনেকটাই বাড়ে।
🔍 সমস্যা ২: ওয়াই-ফাই কানেকশন বারবার ডিসকানেক্ট হচ্ছে
সম্ভাব্য কারণ:
নতুন আপডেটে কিছু Wi-Fi ড্রাইভার অসঙ্গতিপূর্ণ হয়ে যেতে পারে।
সমাধান:
Settings > Network & Internet > Status-এ গিয়ে Network Reset অপশন ব্যবহার করুন।
ডিভাইস ম্যানেজার থেকে Wi-Fi ড্রাইভার আনইনস্টল করে আবার ইনস্টল দিন।
নির্মাতার ওয়েবসাইট থেকে সর্বশেষ ড্রাইভার ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন।
🔍 সমস্যা ৩: কিছু অ্যাপ কাজ করছে না বা ক্র্যাশ করছে
সম্ভাব্য কারণ:
নতুন আপডেটে OS-এর কিছু পরিবর্তনের কারণে পুরনো অ্যাপ ভার্সনগুলোর মধ্যে কনফ্লিক্ট দেখা দেয়।
সমাধান:
অ্যাপের সর্বশেষ ভার্সন ইনস্টল করে নিন।
Compatibility Mode-এ চালানোর চেষ্টা করুন।
অ্যাপটি রিসেট করতে Settings > Apps > App name > Advanced Options-এ গিয়ে “Reset” সিলেক্ট করুন।
🔍 সমস্যা ৪: অটো-স্লিপ বা শাটডাউন কাজ করছে না
সম্ভাব্য কারণ:
নতুন আপডেটের পর পাওয়ার সেটিংস পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে অথবা কিছু অ্যাপ স্লিপ মোড রোধ করছে।
সমাধান:
Power & Sleep সেটিংসে গিয়ে সময়সীমা ঠিক করুন।
Command Prompt থেকে powercfg -requests চালিয়ে কোন অ্যাপ বাধা দিচ্ছে তা চিহ্নিত করুন।
যদি দরকার হয়, BIOS-এ গিয়েও Power Management অপশন চেক করুন।
🔍 সমস্যা ৫: ব্লুটুথ ডিভাইস কানেক্ট হচ্ছে না
সম্ভাব্য কারণ:
ড্রাইভার বা সার্ভিস অকার্যকর হয়ে যেতে পারে নতুন আপডেটের ফলে।
সমাধান:
Settings > Devices > Bluetooth & other devices-এ গিয়ে ডিভাইস রিমুভ করে আবার অ্যাড করুন।
Services.msc-এ গিয়ে “Bluetooth Support Service” চালু আছে কিনা চেক করুন।
Windows Update-এ গিয়ে Optional Updates থেকে ব্লুটুথ ড্রাইভার আপডেট করে নিন।
✨ অতিরিক্ত টিপস:
আপডেট দেয়ার আগে “System Restore Point” তৈরি করে রাখুন।
উইন্ডোজ আপডেটের পর ৭-১০ দিন সময় দিন, অনেক বাগ ফিক্স হয় অটো-আপডেটের মাধ্যমে।
সবসময় বিশ্বস্ত সফটওয়্যার এবং ড্রাইভার ব্যবহার করুন।
নিশ্চয়! নিচে উইন্ডোজ স্লো হয়ে যাওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ১-৩০টি কারণ ও তাদের ব্যবহারযোগ্য সমাধান দেওয়া হলো, যেন আপনি ধাপে ধাপে এগিয়ে গিয়ে আপনার পিসিকে দ্রুত ও কার্যকর রাখতে পারেন।
🛠️ উইন্ডোজ স্লো হয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ ১-৩০টি সমস্যা ও সমাধান
১. Startup অ্যাপ বেশি
সমাধান: Task Manager > Startup ট্যাব > অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ Disable করুন
২. Background প্রসেস অতিরিক্ত
সমাধান: Task Manager থেকে unnecessary প্রসেস বন্ধ করুন
৩. Low RAM (মেমোরি কম)
সমাধান: ৮GB বা ১৬GB-তে আপগ্রেড করুন
৪. Hard Disk Drive (HDD) ব্যবহৃত হচ্ছে
সমাধান: SSD-তে মাইগ্রেট করুন
৫. Temp ফাইল জমে গেছে
সমাধান: Run > temp, %temp%, prefetch ফোল্ডার থেকে ফাইল ডিলিট করুন
৬. Disk Space খুব কম
সমাধান: C: Drive-এ অন্তত ১৫% খালি রাখুন, অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে দিন
৭. Windows Update অনিয়মিত
সমাধান: Settings > Update & Security > Check for updates
৮. ড্রাইভার আপডেট নেই
সমাধান: Device Manager > Driver Update দিন
৯. Malware বা Virus
সমাধান: Windows Defender বা অন্য antivirus দিয়ে Full Scan করুন
১০. Background Apps সব চালু
সমাধান: Settings > Privacy > Background apps বন্ধ করুন
১১. Visual Effects বেশি
সমাধান: System > Advanced > Performance > Adjust for best performance
১২. Search Indexing ভারি হয়ে গেছে
সমাধান: Settings > Indexing Options > Modify করে কম গুরুত্বপূর্ণ ফোল্ডার বাদ দিন
১৩. Windows Tips/Notifications বন্ধ নয়
সমাধান: Settings > System > Notifications বন্ধ করুন
১৪. Power Plan “Power Saver” এ আছে
সমাধান: Control Panel > Power Options > Balanced/High Performance সিলেক্ট করুন
১৫. Startup Services অপ্রয়োজনীয়
সমাধান: Run > msconfig > Services > Hide Microsoft Services > Disable unnecessary
১৬. Browser Tab বেশি খোলা
সমাধান: একসাথে কম ট্যাব ব্যবহার করুন
১৭. Old Browser Extensions
সমাধান: অপ্রয়োজনীয় extensions/remove করুন
১৮. System Restore Point বেশি জমে গেছে
সমাধান: Configure restore points > Purge old ones
১৯. OneDrive বা Cloud Sync ভারি
সমাধান: ফোল্ডার সিলেকশন সীমিত করুন অথবা pause syncing করুন
২০. Outdated BIOS/UEFI
সমাধান: মাদারবোর্ড নির্মাতার ওয়েবসাইট থেকে BIOS আপডেট করুন
২১. Corrupted System Files
সমাধান: Command Prompt (admin) > sfc /scannow
২২. Too many fonts installed
সমাধান: Fonts ফোল্ডার থেকে অপ্রয়োজনীয় ফন্ট রিমুভ করুন
২৩. Fast Startup বাগ তৈরি করছে
সমাধান: Control Panel > Power Options > Disable Fast Startup
২৪. Old Graphics Driver
সমাধান: GPU নির্মাতার ওয়েবসাইট থেকে লেটেস্ট ড্রাইভার ইন্সটল করুন
২৫. Windows Animation ল্যাগ করছে
সমাধান: Settings > Accessibility > Animation effects বন্ধ করুন
২৬. Heavy Antivirus/Third-party Firewall
সমাধান: Lightweight security suite ব্যবহার করুন
২৭. Sync Services একাধিক চালু
সমাধান: শুধুমাত্র একটি sync সফটওয়্যার ব্যবহার করুন
২৮. High Disk Usage (100%)
সমাধান: SysMain (Superfetch) সার্ভিস Disable করুন
২৯. Multiple User Accounts লগড ইন
সমাধান: অন্যদের logout করুন অথবা একসাথে ব্যবহার সীমিত করুন
৩০. RAM বা SSD ত্রুটি
সমাধান: RAM Check (Windows Memory Diagnostic) ও SSD Test (CrystalDiskInfo) চালান
এই তালিকা অনুযায়ী ধাপে ধাপে চেক করলেই আপনার স্লো উইন্ডোজ অনেকটাই ফাস্ট হয়ে যাবে।
🧡 প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অংশ, আর উইন্ডোজ তার অন্যতম চালিকাশক্তি। তবে প্রযুক্তির সাথে সমস্যা থাকবেই — সেটাই স্বাভাবিক। নতুন আপডেট মানেই উন্নয়ন, কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু “বেবি স্টেপস” পিছিয়েও যেতে হয়।
এই ব্লগে আমরা চেষ্টা করেছি আপনাদের প্রতিদিনের ঝামেলাগুলোর বাস্তবসম্মত সমাধান দিতে, যেন আপনি কাজের সময় কম বিরক্ত হন আর আরও বেশি প্রোডাক্টিভ থাকতে পারেন।
আপনার যদি কোনো প্রশ্ন, অভিজ্ঞতা বা নতুন সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার গল্প থাকে — মন্তব্যে জানান। একসঙ্গে সমাধান খোঁজা অনেক বেশি ফলদায়ক।
আর মনে রাখবেন, প্রযুক্তি ঠিক আপনার মতোই—শিখছে, বদলাচ্ছে, আরও ভালো হচ্ছে। তাই ধৈর্য ধরুন, শেখার মনোভাব রাখুন — আর নিজের প্রযুক্তিকে নিজের মত করে নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
শুভকামনা রইলো! 😊
আপনার টেক সহযাত্রী


🌸 আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!
আপনার মতামত আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং আগামীতে আরও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরিতে সহায়তা করে।
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা গল্প পছন্দ করে থাকেন, জানালে ভালো লাগবে।
নিয়মিত পাশে থাকুন — আপনার সহযোগিতা ও ভালোবাসাই আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি।
শুভ কামনায়,
✍️ কল্পকথা-৩৬০ ব্লগ টিম
https://kalpakatha360.blogspot.com