গভীর রাতের নিস্তব্ধতা, জানালার পাশে বসে থাকা একজন একাকী মানুষ, আর এক অস্পষ্ট মাটি-ভেজা গন্ধ—এই গল্পের শুরু এখান থেকেই।
"স্বপ্নে দেখা সোহানা" কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, এটি এক স্মৃতির শহর ঘুরে আসার অনুভূতি।
এটি সেইসব মানুষের গল্প, যারা কাউকে একসময় ভালোবেসেছিল, হারিয়ে ফেলেছিল, কিন্তু ভুলে যেতে পারেনি।
আপনিও কি কখনো এমন কাউকে স্বপ্নে দেখেছেন—যে আর ফিরে আসবে না, কিন্তু হৃদয়ে আজও রয়ে গেছে চিরন্তন হয়ে?
এই গল্পে আমরা ফিরে যাবো অতীতের সেই নিষ্পাপ দিনগুলোতে, যেখানে প্রেম মানে ছিলো চায়ের কাপ ভাগ করে খাওয়া, বৃষ্টিতে একসাথে ভেজা, অথবা কোনো বটগাছের নিচে বসে জীবনের গল্প বলা।
সোহানা ও ‘আমি’র গল্প সেইসব ছোট ছোট মুহূর্তে গাঁথা, যেখানে ভালোবাসা ছিল নিঃশব্দ, কিন্তু গভীর।
প্রথম দেখার দোলা, কবিতা আবৃত্তির মঞ্চ, বৃষ্টিভেজা বিকেল, হঠাৎ বিদায়—প্রতিটি মুহূর্ত যেন হৃদয়ের গহীনে লেখা এক অদৃশ্য কবিতা।
কিন্তু প্রশ্ন হলো—এইসব স্মৃতি কি কেবলই স্মৃতি?
নাকি এর মধ্যে লুকিয়ে আছে এমন কোনো অনুভব, যা আমরা বুঝতে পারি কেবল স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে?
এই পর্বে আমরা জানতে পারবো, কীভাবে একটি স্বপ্ন—একজন প্রাক্তনের উপস্থিতি—আজও একজন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, তার জীবনের অর্থ হয়।
এই গল্প শুরু হয় স্বপ্ন দিয়ে, কিন্তু শেষ কোথায় গিয়ে ঠেকবে, সেটাই এখন জানার পালা।
আবেগঘন গল্প, রোম্যান্টিক উপন্যাস, বাংলা সাহিত্য, সোহানা, স্মৃতি, ভালোবাসা, স্বপ্ন, ব্যক্তিগত গল্প,গভীর রাত। শহরের ব্যস্ততা থেমে গেছে অনেকক্ষণ। কেবল দূরের কোনো অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষীণ সাইরেন অথবা কোনো নিশাচর কুকুরের ডাক ক্ষণিকের জন্য নীরবতাকে খানখান করে দেয়। জানালার পাশে একা বসে আছি আমি সাথে অন্ধকার আর নিঃশব্দতা — এই তিনের এক অদ্ভুত বোঝাপড়া। আমার চারপাশের পৃথিবীটা যেন এক বিশাল ক্যানভাস, যেখানে নীরবতার রঙে আঁকা হয়েছে একাকীত্বের ছবি। আমি এই নীরবতার মাঝে ডুব দিতে ভালোবাসি, কারণ এই সময়টাতেই আমার অবচেতন মন তার আর্কাইভের দরজা খুলে দেয়। পুরোনো সব স্মৃতি এক এক করে ভেসে ওঠে, আর আমি সেগুলোর গভীরে হারিয়ে যাই। রোজ চেষ্টা করি সামনে এগিয়ে যেতে, ভুলে যেতে অতীতের ভার, কিন্তু মন তার নিজস্ব নিয়মেই চলে।
আমার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। গতরাতে, কোনো আমন্ত্রণ ছাড়াই আমার শহরে ফিরে এসেছিল সে—স্বপ্নে দেখা সোহানা। সাদা শাড়ি আর মাটির গন্ধে মাখা সেই চেহারাটা শুধু একটি স্বপ্ন ছিল না; ছিল আমার ফেলে আসা একটা গোটা জীবনের প্রতিচ্ছবি। তার সেই পুরোনো দুষ্টুমি ভরা হাসি, নরম স্বরে বলা কথা, আর মেঘলা আকাশের নিচে হাত ছেড়ে দিয়ে মিলিয়ে যাওয়া—এই সবকিছুই কি কেবলই একটি অগোছালো স্বপ্ন? নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে আছে গভীর কোনো অর্থ?
স্বপ্নটা ছিল ভীষণ বাস্তব। এতোটা বাস্তব যে ঘুম ভাঙার পরও তার রেশ আমার শরীরজুড়ে লেগেছিল। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম, সোহানা দাঁড়িয়ে আছে এক সবুজ ঘাসের মাঠে, তার পরনে সাদা শাড়ি, যা বাতাসের ছোঁয়ায় মৃদু দুলছে। তার খোলা চুলগুলো পিঠের ওপর ছড়িয়ে আছে, আর তার মুখ থেকে ভেসে আসছে এক মিষ্টি মাটির গন্ধ—বৃষ্টিভেজা মাটির মতো, যা আমার মনকে এক মুহূর্তে শান্ত করে দেয়। সে আমার দিকে তাকিয়ে হাসছিল, সেই হাসি, যা একসময় আমার পৃথিবী আলোকিত করত। তার নরম স্বরে সে কিছু কথা বলছিল, যা আমার কানে স্পষ্ট না এলেও তার সুরটা আমার হৃদয়ে অনুরণিত হচ্ছিল। আমি তার দিকে হাত বাড়ালাম, তাকে ছুঁতে চাইলাম, কিন্তু সে যেন এক মায়াবী মূর্তির মতো ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল মেঘলা আকাশের নিচে। তার হাতটা আমার হাতের নাগাল থেকে ফসকে গেল, আর আমি শুধু শূন্যতা আঁকড়ে ধরে রইলাম।
ঘুম ভাঙল এক বুক শূন্যতা নিয়ে। চোখ খুলতেই দেখি, আমি আমার বিছানায় শুয়ে আছি, চারপাশ অন্ধকার। কিন্তু স্বপ্নের সেই অনুভূতিগুলো তখনও আমার সাথে লেগে আছে। বুকের ভেতরটা কেমন যেন চিনচিন করছে। মনে হচ্ছে, আমি যেন সত্যিই সোহানাকে হারিয়ে ফেলেছি এইমাত্র। এই অনুভূতিটা নতুন নয়। সোহানার নামটা ভুল করে কানে এলেও বুকের ভেতরটা হুট করে ফাঁকা হয়ে যায়। এমন কোনো মুখ, যা হাজারো ভিড়েও এক ঝলক দেখলে মনে হয়, চারপাশের পৃথিবীটা মুহূর্তের জন্য শব্দহীন হয়ে গেছে। আমাদের সবার জীবনেই হয়তো এমন একজন থাকে—একজন ‘সোহানা’।
সোহানার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল এক সাহিত্য উৎসবে। আমি তখন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ক্যাম্পাসে সেদিন ছিল কবিতা আবৃত্তির প্রতিযোগিতা। আমি সাধারণত এসব অনুষ্ঠানে খুব একটা যেতাম না, কিন্তু সেদিন কী মনে করে যেন বন্ধুদের সাথে চলে গিয়েছিলাম। মঞ্চে যখন সে উঠল, তখন থেকেই আমার চোখ তার ওপর আটকে গেল। তার পরনে ছিল একটি হালকা নীল রঙের সালোয়ার-কামিজ, চুলগুলো খোলা, আর চোখে ছিল এক অদ্ভুত গভীরতা। সে যখন আবৃত্তি শুরু করল, তার কণ্ঠস্বর যেন এক জাদুকরের মতো আমাকে সম্মোহিত করে ফেলল। তার প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি লাইন যেন আমার হৃদয়ের গভীরে আঘাত করছিল। সে কবিতা আবৃত্তি করছিল না, সে যেন কবিতার প্রতিটি অক্ষরকে জীবন্ত করে তুলছিল। তার আবৃত্তি শেষ হওয়ার পরও অনেকক্ষণ পর্যন্ত আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম।
অনুষ্ঠান শেষে যখন সবাই চলে যাচ্ছিল, তখন আমি মঞ্চের পাশে একা দাঁড়িয়ে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। সে আমাকে দেখে হাসল, সেই হাসিটা ছিল খুব সহজ, খুব সাবলীল। "কী, কবিতাটা কি খুব খারাপ ছিল?" তার প্রশ্নটা শুনে আমি একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। "না, না, খুব ভালো ছিল," আমি তোতলাতে তোতলাতে বললাম। "আসলে, এতোটা ভালো যে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি।" সে আবারও হাসল, আর সেই হাসিটা আমার ভেতরে এক অদ্ভুত ভালোলাগা তৈরি করল। সেই দিন থেকেই আমাদের বন্ধুত্ব শুরু।
তারপরের দিনগুলো ছিল যেন এক স্বপ্নের মতো। কলেজের করিডোর, লাইব্রেরি, ক্যান্টিন, টিচার্স রুমের বাইরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা—সবখানেই আমাদের গল্প চলত। সোহানা ছিল এক জীবন্ত কবিতা। তার প্রতিটি কথা, প্রতিটি হাসি, প্রতিটি রাগ ছিল এক একটি পঙক্তি। সে ছিল ভীষণ প্রাণবন্ত, হাসিখুশি, আর তার চোখে ছিল পৃথিবীর সব সৌন্দর্য দেখার এক অদ্ভুত ক্ষমতা। সে আমাকে শিখিয়েছিল কীভাবে ছোট ছোট জিনিসেও আনন্দ খুঁজে নিতে হয়। কীভাবে একটি সাধারণ বিকেলকেও অসাধারণ করে তোলা যায়।
আমাদের প্রিয় জায়গা ছিল কলেজের পেছনের একটি পুরোনো বটগাছের নিচে। সেখানে বসে আমরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতাম। ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনতাম। সে বলত, "আমি বড় হয়ে একজন লেখিকা হব, আর তুমি আমার গল্পের নায়ক হবে।" আমি হেসে বলতাম, "আমি তোমার প্রতিটি গল্পের প্রথম পাঠক হব।" সেই দিনগুলো ছিল নিষ্পাপ ভালোবাসার দিন। আমাদের কোনো চাওয়া ছিল না, কোনো প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা ছিল না। শুধু একে অপরের সান্নিধ্যে থাকাটাই ছিল আমাদের কাছে সব।
এক শীতের সকালে প্রথমবার সোহানাকে নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম। সেবার শহরের এক পুরোনো গলির ভেতর দিয়ে হাঁটছিলাম আমরা। আকাশ মেঘলা ছিল, কিন্তু বৃষ্টি নামার কোনো লক্ষণ ছিল না। হঠাৎ করেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল। আমাদের হাতে ছাতা ছিল না। সোহানা আমার দিকে তাকিয়ে হেসে বলল, "চল, আজ বৃষ্টিতে ভিজি।" তার চোখে ছিল এক অদ্ভুত দুষ্টুমি। আমি একটু ইতস্তত করছিলাম, কিন্তু তার হাসি দেখে আর নিজেকে আটকাতে পারলাম না। সেই প্রথমবার কোনো মেয়েকে আমার এতো আপন মনে হয়েছিল। তার হাত ধরে যখন দৌড়াচ্ছিলাম, তখন মনে হচ্ছিল, এই মুহূর্তটা যেন কখনো শেষ না হয়। বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটা যেন আমাদের ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে ঝরছিল। আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসছিলাম, আর সেই হাসিই ছিল আমাদের একমাত্র ভাষা।
সেই দিনগুলো ছিল আমাদের জীবনের সেরা সময়। আমরা একসাথে কত স্বপ্ন দেখেছিলাম! কলেজ শেষ করে একসাথে কাজ করব, একটা ছোট বাসা কিনব, আর আমাদের ছোট্ট একটা পৃথিবী হবে। সে বলত, "আমাদের বাসার বারান্দায় অনেক গাছ লাগাব, আর তুমি প্রতিদিন সকালে আমাকে চা বানিয়ে দেবে।" আমি বলতাম, "আর তুমি আমাকে প্রতিদিন রাতে গল্প শোনাবে।" আমাদের স্বপ্নগুলো ছিল খুব সাধারণ, কিন্তু আমাদের কাছে সেগুলো ছিল অমূল্য।
কিন্তু সবকিছুই তো শেষ হয়। আমাদের ভালোবাসাটাও শেষ হয়েছিল এক মেঘলা দুপুরে। কোনো ঝগড়া বা ভুল বোঝাবুঝির কারণে নয়। সোহানার বাবা-মা তাকে নিয়ে অন্য শহরে চলে গেলেন। তার বাবার বদলির চাকরি ছিল, তাই তাদের প্রায়ই শহর বদলাতে হতো। সেদিন সে আমাকে বলেছিল, "আমার জন্য অপেক্ষা করো। আমি ফিরে আসব।" তার চোখে ছিল জল, কিন্তু তার কণ্ঠস্বর ছিল দৃঢ়। আমি তাকে জড়িয়ে ধরেছিলাম, আর সেই মুহূর্তে আমার মনে হয়েছিল, আমার পৃথিবীটা যেন ভেঙে পড়ছে।
সেদিন থেকে আমার জীবনে নেমে এসেছিল এক গভীর শূন্যতা। সবকিছু কেমন অর্থহীন মনে হচ্ছিল। কলেজের করিডোর, লাইব্রেরি, বটগাছের নিচের সেই প্রিয় জায়গা—সবকিছুই যেন সোহানার অনুপস্থিতিতে নীরব হয়ে গিয়েছিল। আমি চেষ্টা করতাম তাকে ভুলে থাকতে, নতুন করে জীবন শুরু করতে। কিন্তু তার স্মৃতি আমাকে তাড়া করে ফিরত। প্রতিটি বৃষ্টিভেজা দিন, প্রতিটি মেঘলা আকাশ, প্রতিটি চায়ের কাপ—সবকিছুতেই আমি সোহানাকে খুঁজে পেতাম।
এখনও মাঝেমধ্যে যখন কোনো বৃষ্টিভেজা দিনে বাইরে বের হই, তখন সেই পুরোনো গলির দিকে তাকিয়ে থাকি। মনে হয়, সোহানা হয়তো এখনো সেখানে দাঁড়িয়ে আছে, আমার জন্য অপেক্ষা করছে। তার সেই হাসি, সেই দুষ্টুমি ভরা চোখ, আজও আমার মনের ভেতর জীবন্ত। কিন্তু আজ আমি জানি, সে আর ফিরবে না। সে হয়তো তার নতুন জীবনে ব্যস্ত, নতুন স্বপ্ন বুনছে। আর আমি, আমি শুধু তার স্মৃতিগুলোকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে আছি।
এইসব স্মৃতিগুলো যখন মনে আসে, তখন আমার বুকের ভেতরটা হুট করে ফাঁকা হয়ে যায়। চারপাশের পৃথিবীটা মুহূর্তের জন্য শব্দহীন হয়ে যায়। আমার শহরে সোহানার নামটা আজ শুধুই এক স্মৃতি। কিন্তু সেই স্মৃতিই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তার স্বপ্নই আমাকে প্রতিদিন নতুন করে বাঁচার প্রেরণা যোগায়।
এই স্বপ্ন, এই স্মৃতি—এগুলো কি কেবলই অতীতের প্রতিচ্ছবি? নাকি এর আড়ালে লুকিয়ে আছে গভীর কোনো অর্থ? কেন বিশেষ একজন মানুষই বারবার আমাদের স্বপ্নে ফিরে আসে? মনোবিজ্ঞান এই নিয়ে কী বলে? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হলো, যে ভালোবাসা সময়ের দেয়ালে কেবলই একটি নাম হয়ে ঝুলে থাকে, সেই নামের ভার বয়ে আমরা বাকি জীবনটা কীভাবে চলি? এই প্রশ্নগুলোই আমাকে তাড়া করে ফেরে, আর হয়তো এই গল্পের মাধ্যমেই আমি সেই উত্তরগুলো খুঁজে পাব।
❤️ উপসংহার: পাঠকের জন্য আবেগঘন আহ্বান
এই গল্পটা শুধু "আমি" আর "সোহানা"র নয়।
এটা সেইসব হৃদয়ের গল্প, যারা কোনো এক জীবনের বাঁকে কাউকে হারিয়ে ফেলেছে, কিন্তু তাকে আজও ভালোবাসে নিঃশব্দে।
আপনিও যদি কোনো ‘সোহানাকে’ বুকে ধারণ করে বেঁচে থাকেন—তাহলে এই গল্প আপনারই জন্য।
এই ধারাবাহিকটি শুধু পড়ে যান না, অনুভব করুন।
আপনার ভেতরের অনুভূতিগুলোর সঙ্গে যদি একটিবারও সুর মেলে, তাহলে জানবেন—আপনি একা নন।
👉 গল্পটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন প্রিয়জনের সঙ্গে।
👉 আপনার নিজের 'সোহানা'র কথা জানাতে পারেন মন্তব্যে—হয়তো কেউ একজন ঠিক আপনার মতোই অনুভব করছে।
👉 আগামী পর্বে চলুন আরও গভীর ভালোবাসার পথ ধরে...
🌸 আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ!
আপনার মতামত আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং আগামীতে আরও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরিতে সহায়তা করে।
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বা গল্প পছন্দ করে থাকেন, জানালে ভালো লাগবে।
নিয়মিত পাশে থাকুন — আপনার সহযোগিতা ও ভালোবাসাই আমাদের এগিয়ে চলার শক্তি।
শুভ কামনায়,
✍️ কল্পকথা-৩৬০ ব্লগ টিম
https://kalpakatha360.blogspot.com